স্কুল বড্ড প্রিয়! সিকিমে মৃত জওয়ানের দেহ এল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, চোখে জল গ্রামবাসীদের


সিকিমে গাড়ি দুর্ঘটনায় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু৷ কাকদ্বীপের বাসিন্দা সুমিত মাইতি(৩৫) প্রয়াণে এলাকায় শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার রাতে কফিন বন্দী দেহ ফেরত আসে পরিবারে। সেনা জওয়ানকে শেষ শ্রদ্ধায় গ্রামবাসীদের চোখে জল।

Barrackpore Police : ব্যারাকপুর কমিশনারেটে কর্মরত ASI-এর রহস্যমৃত্যু, মিলল ঝুলন্ত দেহ
কাকদ্বীপের রাজনগর শ্রীনাথ গ্রামের বাসিন্দা সুমিত মাইতি(৩৫) ভারত চীন সীমান্তে পূর্ব সিকিমের নাথুলাতে কর্তব্যরত ছিলেন৷ গত ৮ ই আগস্ট কর্তব্যরত অবস্থায় নাথুলাতে গভীর খাদে গাড়ি নিয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই ভারতীয় সেনা জওয়ানের। একজন হলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা নায়ক পারভে কিশোর এবং অপরজন হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত রাজনগর শ্রীনাথগ্রামের বাসিন্দা সমিত মাইতি।

Uttar 24 Parganas : বেহালার দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা! স্কুল পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় কড়া পদক্ষেপ জেলা প্রশাসনের
দুর্ঘটনায় মৃত সেনা জওয়ানের কফিনবন্দী মরদেহ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পৌঁছয় পরিবারের কাছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে নামখানা নারায়ণ বিদ্যামন্দির থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন সুমিত। স্কুল বড় প্রিয় ছিল সুমিতের। তাই বাড়িতে যাওয়ার আগে কফিন বন্ধি মরদেহ প্রথমে আনা হয় নামখানা নারায়ণ বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গণে।

WB Panchayat Election 2023 : বোর্ড গঠনে বিলম্ব &amp#39;ডোন্ট কেয়ার&amp#39;! গাঁটের টাকা নিয়ে &amp#39;উন্নয়ন&amp#39; শুরু TMC পঞ্চায়েত সদস্যের
সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন মৃত সেনা জওয়ান সমিত মাইতিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নামখানা নারায়ণ বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় জমায় এলাকার বহু মানুষ। নামখানা নারায়ণ বিদ্যামন্দির থেকে মৃত সেনা জওয়ান সমিত মাইতির কফিনবন্দী মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাড়িতে।
মৃত সেনা জওয়ান সমিত মাইতিকে শেষবার চোখের দেখা দেখতে বাড়িতে তখন অপেক্ষারত বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয় পরিজন এবং প্রতিবেশীরা। জানা যায়, নামখানার রাজনগর শ্রীনাথগ্রাম এলাকার মাইতি পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন সুমিতের মাইতি। কলেজ জীবনের লেখাপড়া শেষ করেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন সুমিত। দেশকে রক্ষা করার শপথ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

Dengue Cases Rise Video : পুনর্জন্ম! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরল একরত্তি

পরিবারের তরফে জানা যায় মাত্র কয়েক মাস আগে গত বৈশাখে এক মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন সুমিত। পুরো একটি মাস পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছিলেন সুমিত। প্রতিদিনের মতন গত ৮ ই অগাস্ট মঙ্গলবার সকালে বাবা মা এবং স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথাও হয়েছিল সুমিতের। তারপরেই ওই একই দিনে অর্থাৎ ৮ ই অগাস্ট মঙ্গলবার সুমিতের পরিবারের কাছে পৌঁছয় তাঁরমৃত্যুর সংবাদ।
কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। নিজেদের বড় সন্তানকে হারিয়ে যেমন একদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছে বাবা-মা ঠিক তেমনি স্বামীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী সরমা মাইতি। তবে বাবা আর ফিরবে না কখনো এটা কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না মৃত সুমিতের দুই কন্যা সন্তান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *