তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রসঙ্গত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে এর আগেও দাবি করা হয়েছিল উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের সেফ করিডর হিসেবে দুষ্কৃতীরা এই বীরভূম জেলাকেই ব্যবহার করে। এমনকি বীরভূম জেলায় এসে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, বিহার ঝাড়খণ্ড থেকে বীরভূম হয়েই আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা ঢুকছে বাংলায়। আর সেই কথাটি কার্যত সিলমোহর পড়ছে বারংবার এই অস্ত্র ও বোমা উদ্ধারের ঘটনায়।
তবে এই ঘটনার পর বীরভূম জেলার প্রতিটি রেল স্টেশনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্বাধীনতা দিবস। তার আগে গোটা রাজ্যেই চলছে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বিভিন্ন রেল স্টেশন-সহ জনবহুল এলাকাগুলিতে জোরদার তল্লাশি চলছে। সেই অনুযায়ী বীরভূমের বিভিন্ন স্টেশনেও দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে রেল পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র উত্তরবঙ্গে পাচারের জন্য এই দূরপাল্লা ট্রেন ব্যবহার করে থাকে পাচারকারীরা। স্বাধীনতা দিবসের আগে এই ট্রেনেও সেভাবেই অস্ত্র পাচার হচ্ছিল বলে অনুমান।
এর আগেও সাঁইথিয়া সহ জেলার একাধিক স্টেশনে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের আগে কেন এত অস্ত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা হল, তা রেল পুলিশের পাশাপাশি খতিয়ে দেখছে জেলা পুলিশও।
এই ঘটনার পর আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্টেশনগুলিতে। উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই সাঁইথিয়া এলাকায় বলাইচণ্ডী এবং সিজা গ্রাম থেকে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১০০টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আর সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির অদূরে বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার করে পুলিশ। সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় একজন ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশ দুটি মাস্কেট, দুটি ওয়ান সাটার বন্দুক এবং ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
