সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীকে পাটনা হাইকোর্ট, বিচারপতি শেখার ববি সরাফকে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এবং মাত্র এক বছর আগে বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়া লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কলকাতা থেকে তিনজনকে বদলি করে এলাহাবাদ থেকে এক বিচারপতিকে কলকাতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কলেজিয়ামের তরফে।
কলকাতা হাইকোর্ট থেকে একসঙ্গে তিন বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করা আইনজীবী মহলের কাছে অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে ২৫ জন বিচারপতিকে একসঙ্গে সরানোর সুপারিশ নিয়ে চর্চা চলছে আইনজীবী মহলে।
পাঁচ বছর থেকে সর্বশেষ বিচারপতি পদে যোগ দেওয়া কলকাতা হাইকোর্টের তিনজনকে একসঙ্গে বদলির সুপারিশ প্রায় নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা। যদিও একেকজনের বদলির সুপারিশের পিছনে এক এক রকম কারণ নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই সুপারিশ কি আদৌ কার্যকর হবে? হলে তা কবে হবে? তা নিয়ে চলছে জল্পনা। আইনজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য, অতীতে হাইকোর্টের বিচারপতি বদলির সুপারিশ শেষ পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার উদাহরণও রয়েছে।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তকে কলকাতায় বদলির জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছি কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ মেনেই তা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের থেকে জারি করা হয়েছিল প্রেস বিজ্ঞপ্তি। যদিও তিনি এই সুপারিশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। যদিও কলেজিয়াম তাঁকে কলকাতায় বদলির সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। আর সেই বদলির প্রতিবাদে দিল্লি হাইকোর্টে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বার অ্যাসোসিয়েশন।