Freedom Fighter : যুগের অবসান, ১০৫ বছরে জীবনাবসান স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ দাসের – east medinipur freedom fighter jatindra nath das passed away at 105 age


অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের এক নক্ষত্রপতন ঘটল। ১০৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হল স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ দাসের। গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যে ৬ টা ৫০ মিনিটে তিনি ভগবানপুর ২ ব্লকের বামুনিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর তিন পুত্র ও চার কন্যা বর্তমান। তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাসের অনেক আগেই জীবনাবসান ঘটেছে।

জানা গিয়েছে, সপ্তাহ খানেক ধরে তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছিল না। দু’ দিন শুধু অক্সিজেনের উপর ভরসা করেই রাখা হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি দেহত্যাগ করেন। বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী যতীন্দ্রনাথ দাসের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ার সময় থেকেই যতীন্দ্রনাথ স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।

Independence Day : কেন ১৫ অগাস্ট তারিখে ভারত স্বাধীন হয়েছিল?
১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট গান্ধীজির ভারত ছাড়ো আন্দোলনে যতীন্দ্রনাথবাবু যোগ দেন। সেই সময় মেদিনীপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা গান্ধীজির ভারত ছাড়ো দাবিকে সামনে রেখে ২৯ সেপ্টেম্বর জেলার সব থানা দখল করবেন বলে পরিকল্পনা করেন। যতীন্দ্রনাথও সেই দখল অভিযানে যোগ দেন। ভগবানপুর থানা দখল করতে থানার চারদিক থেকে চারটি মিছিল এগিয়েছিল।

যতীন্দ্রনাথ ছিলেন একরকম একটি মিছিলের একেবারে সামনের দিকে। তাঁদের মিছিল থানার দিকে এগোতেই পুলিশের গুলি এসে লাগে যতীন্দ্রনাথের মাথায়। মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। পরে সতীর্থরা তাঁকে তুলে নিয়ে যান। পরের দিন তাঁর মাথা থেকে গুলি বের করা হয়।

Mera Mati Mera Desh : সুভাষের ভিটের মাটি যাচ্ছে দিল্লি, মোদীর উদ্যোগে স্থান পাবে অমৃত বাটিকায়
কিন্তু পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে যান। দু’ দিন পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। বিচারে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হয়। জানা গিয়েছে, ওই থানা দখল অভিযানে ১৭ জন বিপ্লবী শহিদ হয়েছিলেন। যতীন্দ্রনাথ জেল থেকে বেরোনোর কিছুদিন পরে দেশ স্বাধীন হয়।

তাঁর পরবর্তী জীবনের বিষয়ে বলতে গিয়ে যতীন্দ্রনাথের পুত্র বিমলেন্দু বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাবা আর রাজনীতিতে যোগ দেননি। স্থানীয় পোস্ট অফিসের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। অবসর জীবনে শুধুই বাড়িতে থাকতেন। এছাড়াও স্বাধীনতা এবং শিক্ষা সম্পর্কিত যে কোনও ছোটখাট অনুষ্ঠানে তিনি পৌঁছে যেতেন। এলাকার সকলের সঙ্গে মেলামেশা করতেন। রাজ্য, দেশ তথা আন্তর্জাতিক নানান বিষয় নিয়ে তিনি চর্চাও করতেন।’

Indian Freedom Movements : স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এ শহরের এক বাড়ির কথা
পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর শেষ যাত্রায় শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জেলার কোনও প্রশাসনিক কর্তা, রাজনীতিবিদকে দেখা যায়নি। খানিকটা নিঃশব্দেই হয়ে গেল ভগবানপুর থানা দখল অভিযানের শেষ সদস্যের শেষ যাত্রা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *