কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই দোকানগুলি। গত মার্চ মাসে নৈহাটি পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট অথরিটি একটি ইনস্পেকশন করে এবং সরকারি জমি দখল করে থাকা দোকানগুলিকে উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই দোকানদাররা কোনও কথা শোনেননি বলে অভিযোগ।
সপ্তাহ খানেক আগে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাইওয়ে অথরিটি ফের ওই এলাকায় উচ্ছেদের নোটিস দিয়ে আসে। সেই মতোই এদিন নৈহাটি থানার পুলিশ, ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ দিন সাহেব কলোনি মোড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে থাকা পাঁচটি দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় হাইওয়ে অথরিটি। দোকানগুলি ভাঙতে গিয়ে কোনও বাধার মুখে পড়তে না হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
যতন পাল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আচমকা দোকান ভেঙে দেওয়ায় আমাদের বিশাল ক্ষতি হলো। এই দোকানের উপর নির্ভর করেই সংসার চলত। জানি না কী ভাবে পেট চালাব।’ নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জবরদখলকারীদের আগেই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত প্রশাসনের।’
অন্যদিকে, ভাটপাড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিখিলনগরে রেলের জমি বেআইনিভাবে দখল নিয়ে দোকান তৈরি করে বছরের পর বছর ধরে চলছে ব্যবসা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার রেল কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদের নোটিস দিলেও কথা শোনেননি ওই দোকানদাররা। সপ্তাহখানেক আগে ফের একবার উচ্ছেদের নোটিস দিয়ে যায় রেল। যা নিয়ে বেআইনি দখলদাররা ক্ষুব্ধ ছিলেন।
রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা পুনর্বাসনের আবেদন জানান। কিন্তু রেল সাড়া দেননি। সেই নোটিসের সূত্র ধরেই এ দিন দুপুরে রেল পুলিশের বিশাল বাহিনী ও রেল প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রেল পুলিশের উপস্থিতিতে বেআইনিভাবে দখল করে থাকা পরপর পাঁচটি দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। যা নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হলেও তার কোন বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের দাবি, তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক।