কলকাতায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় সেনাকে মশা দমনের প্রশিক্ষণ দেবে কলকাতা পুরসভার মশা দমন বিভাগ। আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশিক্ষণ পেতে চেয়ে কলকাতা পুরসভার কাছে আর্জি জানিয়েছিলোন। বৃহস্পতিবার সেই ব্যাপারে কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষের সঙ্গে সবিস্তার আলোচনা করেন কম্যান্ড হাসপাতালের কম্যান্ডিং অফিসার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল বন্দনা কুমারী ও অন্য সেনা অফিসাররা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, লালবাজার ছাড়া ডেঙ্গির নোটিস পাওয়া রাজ্য সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে পূর্ত দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিবের অফিস, দমকলের ডিজি-র অফিস, আবাসন দপ্তরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারের অফিস, পূর্ত দপ্তরের সুপারিন্টেনডেন্টের দপ্তর। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের মধ্যে রয়েছে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের অফিস, শিয়ালদহের ডিআরএমের অফিস, মেট্রো রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস, সিপিডব্লিউডি-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিস এবং ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এফসিআই)-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকের অফিসও।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘নোটিসে এই সমস্ত অফিসকে জানানো হয়েছে যে, কোথাও জল জমে থাকলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। এমনকী, আবর্জনা জমলে তা-ও দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে।’
গত শুক্রবার, ৪ অগস্ট কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ এবং পুরসভার মশা দমন বিভাগের একাধিক শীর্ষ অফিসার উল্টোডাঙার কাছে মুচিবাজারে দু’টি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার অফিসে যান। ওই সব অফিসের ভিতরে মশার আবাস ও আঁতুড়ঘর দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র ও ডেপুটি মেয়র। সে দিনই পুরসভার সদর কার্যালয়ে ফিরে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছিলেন, ডেঙ্গি রোধে কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসকে পুরসভা নোটিস পাঠাবে। তার পরেই বুধবার ও বৃহস্পতিবার পুরসভার নোটিস গেল ওই সব অফিসে।