অপরদিকে BJP-র তরফ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কেশিয়াড়িতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও BJP-কে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে দেয়নি। তবে ২০২৩ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
তাহলে কেন এবার পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হল না? যদিও বিরোধী বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, কেশিয়াড়িতে শাসকের কোন্দল ঘিরে রয়েছে। আর নিজেদের কোন্দলের ফলেই বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিন থাকা সত্ত্বেও বোর্ড গঠন করতে পারল না প্রশাসন। কার্যত কেশিয়াড়িতে যে শাসক দলের কোন্দল আবারও প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে তা প্রমাণিত হল আবারও একবার এদিন। যদিও বোর্ড গঠন কেন হল না এদিন তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই। শাসকের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা সম্পূর্ণ দায়ভার ঠেলে দেন প্রশাসনের দিকে।
অপরদিকে প্রশাসন বা ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকেও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এদিন তবে কি ব্লক প্রশাসনও ব্যর্থ হল শাসকের কোন্দলের ফলে বোর্ড গঠন করতে? এদিন প্রশ্ন এখন এটাই। এই বিষয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী এক সদস্য বলেন, ‘আমরা সবাই এসেছিলাম। BDO অফিসে সরকারি সব আধিকারিকরাও ছিলেন। অনেকক্ষণ ধরে মিটিং হয়েছে। তবে বেশ কিছু প্রশাসনিক কারণবশত আজকে বোর্ড গঠন করা যায়নি। দলের তরফ থেকে কোনও ত্রুটি বিচ্যুতি হয়নি’। যদিও স্থানীয় এক BJP নেতা বলেছেন, ‘বোর্ড গঠন হবে কিভাবে?
তৃণমূলের মধ্যে এত গোষ্ঠী কোন্দল। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীকে বারবার টেনে ধরছে। আগেরবার আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম। তা সত্ত্বেও ষড়যন্ত্র করে আমাদের বোর্ড গঠন করতে দেয়নি। এবার নিজেরাই পারছে না’।