পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের উপর ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবির। CPIM-এর এক সদ্য নির্বাচিত সদস্য বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র করে পুলিশ শেখ জাফরকে আটক করেছে।
কারণ উনি প্রধান নির্বাচিত হতেন। তৃণমূলকে আটকাতে এখানে জোট গড়া হয়েছে। আর তাতেই তৃণমূল ফুঁসে উঠেছে। শাসকদলের দাস হয়ে গিয়েছে পুলিশ। তাই ওরা যা বলছে তাই করছে। বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে যাতে বোর্ড গঠন না করতে পারে, সেই কারণেই শেখ জাফরকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে।
আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই পুলিশ মারমুখী হয়ে ওঠে ও আমাদের ৪ জন কর্মীকে ধরে নিয়ে যায়। শেখ জাফর সমেত বাকি কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আমরা আন্দোলন করতে শুরু করেছি’। এদিকে, পুলিশকে দিয়ে শেখ জাফরকে আটক করানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ যদি তাঁকে আটক করে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই কোনও না কোনও কারণ আছে। এতে তৃণমূলের কোনও হাত নেই।
বিরোধীরা এখানে ষড়যন্ত্র করে জোট করেছে। এটিকে জোট না বলে ঘোঁট বলা যেতে পারে। কারণ বাম ও BJP একে অপরকে সবসময় কটাক্ষ করে, গালমন্দ করে। এবারের ভোটের প্রচারেও করেছে।
আর বোর্ড গঠনের সময় আসতেই গলায় গলায় ভাব করে নিয়েছে। সব মানুষ দেখছেন। তৃণমূলকে যে এরা কি পরিমাণে ভয় পায়, সেটাই সবাই দেখতে পাচ্ছেন। তবে যাই হোক, বোর্ড আমাদেরই হবে’।