অন্যদিকে BJP ৬ টি এবং ISF ১ টি আসন পেয়েছে। স্বভাবতই এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে। যদিও এক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়। তৃণমূলের জয়ী ১৩ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন জয়ী সদস্য বিধায়ক নির্ধারিত পিন্টু মাইতিকে, প্রধান হিসেবে মানতে রাজি হয়নি। আর তাতেই সমস্যা দেখা দেয়।
বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠী তৃণমূলের গোপাল কোলেকে প্রধান হিসেবে মনোনীত করে দলের অন্য জয়ী সদস্যদের সমর্থন চায়। যদিও তাঁরা এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার BJP-র ৬ সদস্যর সমর্থনে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল।
যদিও বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও BJP তৃণমূল বলে কথা নেই এটা মানুষের পঞ্চায়েত বলে দাবি করেছেন সদ্য নির্বাচিত প্রধান গোপাল কোলে। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ চেয়েছিল দুর্নীতিমুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেটাকে প্রাধান্য দিতে আমরা BJP-র সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেছি’।
অন্যদিকে তৃণমূলকে BJP-র সমর্থন প্রসঙ্গে উপপ্রধান শুভঙ্কর গোড়া বলেন, ‘দলের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। এখানে আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়ে মানুষকে ভালো পরিষেবা দেওয়া’। যদিও তৃণমূল BJP-র এই আঁতাত টাকার বিনিময়ে হয়েছে বলে দাবি করেছেন পিন্টু মাইতি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের তরফে আমাকে প্রধান নির্বাচিত করা হলেও বৃহস্পতিবার দলের চার সদস্য তাঁদের পক্ষে ভোট দেয়নি। সেই কারণে BJP-র সমর্থন নিয়ে দলের কিছু বিশ্বাসঘাতক বোর্ড গঠন করেছে’।
অন্যদিকে দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে BJP-র সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করায় প্রধান গোপাল কোলের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ডাঃ নির্মল মাজি। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দলবিরোধী কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না’।