Primary Teachers Recruitment : বিএড নয়, প্রাথমিকে গ্রাহ্য শুধু ডিএলএড – only dled training will be accepted for primary teacher recruitment


এই সময়: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে এ বার শুধুই ডিএলএড বা ডিএড প্রশিক্ষণই গ্রাহ্য হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হিসেবে বিএড’কে মান্যতা দেওয়া হবে না। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, ডিএলএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যেহেতু প্রাথমিকে পড়াতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাই তাঁদেরই শুধু প্রাথমিকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা উচিত। ফলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিএড-প্রশিক্ষিতরা অংশ নিতে পারবেন না।

NEP in West Bengal: অষ্টম শ্রেণি থেকে সেমিস্টার, উচ্চ মাধ্যমিকে এমসিকিউ! রাজ্যে আসতে চলেছে নয়া শিক্ষানীতি
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গোটা দেশে এই নীতি কার্যকরী করতে হবে। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালত রাজস্থান হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে। সাধারণত বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে পারেন। সেখানে ডিএলএড এবং ডিএড প্রশিক্ষণ নিয়ে শুধু প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করা যায় (অতীতে যার অন্য নাম ছিল পিটিটিআই)। এই প্রসঙ্গ তুলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিএড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ করা হোক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরেই।

Rajya Sabha : নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক নিয়োগ সংক্রান্ত বিল পেশ, রাশ পড়তে চলেছে বিচারপতির ক্ষমতায়?
শীর্ষ আদালতের এই রায়ে প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ফলেই কয়েক হাজার বিএড-উত্তীর্ণও আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর বাংলা-সহ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে প্রাথমিকে নিয়োগের নতুন নীতি ও পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে বলে শিক্ষা-প্রশাসকদের মত। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএড ডিগ্রিধারী শিক্ষকের সংখ্যা কম নয়।

PSC West Bengal: ‘২টো সরকারি চাকরি করেছি, টাকা দিতে হয়নি’, PSC-র নিয়োগ নিয়ে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের (এনসিটিই) নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিএড’রা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি ২০০১ থেকে প্রাথমিকেও সুযোগ পেতেন। তবে প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ৬ মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হতো। এনসিটিই’র ওই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন ডিএলএড-প্রশিক্ষিতরা। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ডিএড বা ডিএলএড ডিগ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্যে নির্দিষ্ট। বিএডদের প্রাথমিকের চাকরিতে সুযোগ দেওয়া হলে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে ডিএলএডদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *