পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার শেষবারের মতো শুভ্রজ্যোতিকে তারা দেখতে পান। এরপর বুধবার তাঁর আর কোনও খোঁজ পাননি। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকেরা জুনিয়র ডাক্তারের ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানার ওপরে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের কথায়, মেধাবী ছাত্র শুভ্রজ্যোতি ডাক্তারিতে প্রবেশ পাওয়ার পর থেকেই নার্ভের সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনার পর থেকেই তা বাড়তে থাকে এবং মানসিক অবসাদে চলে যায় সে। বাড়িতে কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলত না। নিজের পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকত সে। এর জন্যই কেউ তাকে বিরক্ত করত না। বুধবার তার কোন খোঁজ না মেলায় বৃহস্পতিবার সকালবেলা পরিবারের তরফে তাঁর ঘরে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তারা সফল না হলেও দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় তারা ঘরে প্রবেশ করেন এবং তারপরে তারা শুভ্রজ্যোতিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেই সেখানেই ওইদিন গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তার পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কী কারনে জুনিয়ার ডাক্তারের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সে কি অত্যধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ খেয়েছ কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তা পরিষ্কার হবে। পরিবারের সূত্রে দাবি, অবসাদ কাটানোর উপায় ও ডাক্তারি ক্ষেত্রে কী ভাবে সাফল্য পাওয়া যায় তা নিয়ে সে নেটে সার্চ করত। বেশ কয়েকবার পরিবারের লোক শুভ্রজ্যোতির মোবাইল ঘেঁটে এমনই তথ্য পেয়েছে।