আমডাঙার ৮ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি তৃণমূলের দখলে ছিল। ১টি মাত্র পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। সেটা হল আমডাঙার মরিচা পঞ্চায়েত। ২৪ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন ছিল ১০, BJP ৭, CPIM ৪, ফরওয়ার্ড ব্লক ২, নির্দলের ১ টি। ভোটাভুটিতে আজ বোর্ড গঠন হল। বাম, BJP ও নির্দল মিলিয়ে ১৪ টি ভোট পেয়ে প্রধান হলেন BJP-র সঞ্জীব ওরাং ও উপপ্রধান হলেন বামেদের বাসন্তী হেমব্রম। তৃণমূল পায় ১০টি ভোট। এর ফলে হেরে যায় তৃণমূল। জয়ের পর বাম রাম ও নির্দল সমর্থকেরা জাতীয় সড়কে জয়ের উল্লাস করেন।
কেউ গেরুয়া কেউ লাল আবির মেখে জয় সেলিব্রেট করেন। একসঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতেন রাম-বাম কর্মী সমর্থকরা। CPIM-এর বাসন্তী হেমব্রম এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি CPIM-এ ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকব। শুধুমাত্র চোর তৃণমূলকে হটাতে ও জনগণের পঞ্চায়েত গঠনের স্বার্থে BJP-কে সমর্থন জানিয়েছি।
রাম বাম জোট নয়। এত দিন ধরে তৃণমূল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে যে সন্ত্রাস ও লুট চালিয়েছে, সাধারণ মানুষ তার জবাব দিয়েছে। এই জয় মরিচা পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের জয়’। এদিকে, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘২০১৯ সাল থেকেই এই রাজ্যে বাম-রাম জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়াই লড়ছে।
এত দিন সেই আঁতাত গোপনে থাকলেও এখন তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। রাম-বামের এই আঁতাত এলাকার মানুষের জন্য ভাল নয়। যারা এতদিন BJP-কে সমর্থন করেছেন, ভোট দিয়েছেন, তাঁদের এবার বোঝা উচিৎ যে তাঁরা ভুল দিকে এগোচ্ছেন। এটা রাজ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক’।