ঠিক সেইদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙার ঘটনায় তৃণমূল BJP তর্জা অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড গঠন মিটতেই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে BJP-র বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রামনগর ১ ব্লকের বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর পুরুষোত্তমপুর পুর এলাকার।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামনগর থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। অভিযোগ তারপরেই BJP-র প্রার্থীদের মারধর করে তৃণমূল।
এই ঘটনার পর তৃণমূলের কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিল ও টিভিতে ভাঙচুর চালায় BJP-র কর্মীরা। যদিও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে BJP। BJP-র স্থানীয় এক নেতা এই বিষয়ে বলেছেন, ‘তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। BJP কোনওভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বরং বোর্ড গঠনের পর ওদের গুণ্ডারাই BJP-র জয়ী প্রার্থীদের কে মারধর করেছে, এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে’। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারা দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। BJP আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে না পেরে উঠে এখন পেশিশক্তি প্রদর্শন করতে শুরু করেছে’। এদিকে, বাধিয়া অঞ্চলে বিজয়ী BJP প্রার্থীদের বোর্ড গঠনের সময় অঞ্চলে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল খালেক কাজী।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি’। রামনগর এক ব্লকের অন্তর্গত বাধিয়া অঞ্চলে এবার ২৭ টি আসনের মধ্যে ২২টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে, পাঁচটি আসন দখল করেছে BJP। এই ঘটনা ঘিরে অভিযোগ পালটা অভিযোগে তৃণমূল BJP তর্জা এখনও অব্যাহত।