দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে নাড্ডা জানান, ‘আজকে মায়ের পুজো দেওয়ার সুযোগ পেলাম। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, মা যেন আমাকে এবং আমার দলের সহকর্মীদের শক্তি দেন।’ পাশপাশি তিনি এও জানান, ভারত রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা লড়তে পারি এবং ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান যেন আরও এগিয়ে যায় তার প্রার্থনা করেছি।
সকাল ৯.২০ নাগাদ নিউটনের ওয়েস্টিন হোটেল থেকে বেরোলেন জে পি নাড্ডা, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। আজ সারা দিনের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দেন তিনি। এরপর আবারও নিউটনের পাঁচতারা হোটেল ওয়েস্টিন এ ফিরে আসবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি।
তারপরের কর্মসূচি হোটেল থেকে বেরিয়ে দুপুর ১২ টা নাগাদ কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে যাবেন। সেখানে সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে বিজেপির কার্য কর্তাদের সঙ্গে। বৈঠক সেরে কোলাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বিকাল চারটে নাগাদ সেখানে পঞ্চায়েত সম্মেলন অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করবেন। সবশেষে তিনি সন্ধ্যার বিশেষ বিমানে দিল্লী ফিরবেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর প্রথম রাজ্যে এলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রচার ও আন্দোলনের রূপরেখা কী হবে তা নিয়ে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে তিনি আজ আলোচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্বকে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি কী নির্দেশ দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে আছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের ফল নিয়ে সন্তুষ্ট হয় বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও গতকালই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বাধা প্রদান এবং বিরোধীদের আটকানো, সন্ত্রাস সৃষ্টির ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপিকে ৩৫ টি আসন দখলের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কীভাবে এগোবে বিজেপি, তার জন্যেই আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব।