Hilsa Fish : জালে কিন্তু ইলিশ উঠছে না, ফের দুশ্চিন্তায় মৎস্যজীবীরা – hilsa fish is not rising net diamond harbour fishermen are worried


এই সময়, কাকদ্বীপ: ইস্টবেঙ্গল শনিবার ডার্বি জিতল চার বছর সাত মাস পর। কিন্তু সবুজ-মেরুনকে হারানোর সেলিব্রেশনে আজ, রবিবার ছুটির দিন দুপুরে পাঁড় লাল-হলুদ সমর্থকদের ভাতের পাত আলো করে ইলিশ থাকবে, তেমন সম্ভাবনা কি আছে আদৌ? বাজারে যে এখন ইলিশের দেখাই নেই! কাল, ১৪ অগস্ট এক মাস পূর্ণ হবে শেষ বার ভালো পরিমাণে ইলিশ পাওয়ার।

এই মরশুমে ঝাঁক ঝাঁক ইলিশ ধরা পড়েছিল ঠিক এক মাস আগে, ১৪ জুলাই। মরশুমের শুরুতে সে ভাবে ইলিশের দেখা না-মিললেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি রুপোলি শস্য আশার আলো দেখিয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারে উঠেছিল হাজার টন ইলিশ। তবে সেটাই এই মরশুমে প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত সেটাই শেষ। তার পর ইলিশের আর সে ভাবে দেখা নেই।

Hilsa Fish : সাগরের ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে গঙ্গায় জব্বর সব ইলিশের ঢল
মৎস্যজীবী ও মৎস্যব্যবসায়ীদের অনেকেই আশা করেছিলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি যত ইলিশ উঠেছিল, তার চেয়ে অগস্টের একেবারে গোড়ায় ইলিশ মিলবে আরও বেশি। কারণ, জুলাইয়ের মাঝামাঝি ইলিশ উঠেছিল অমাবস্যা কোটালে। আর অগস্টের ১ তারিখ ছিল পূর্ণিমা কোটাল। অমাবস্যার কোটালের দ্বিগুণ-চার গুণ বেশি ইলিশ পূর্ণিমা কোটালে পাওয়া যায়, এমনটাই সাধারণ ধারণা।

কিন্তু পূর্ণিমা কোটাল এক রকম খালি হাতে ফেরাল মৎস্যজীবীদের। এ ক্ষেত্রে নিম্নচাপ ও তার জেরে খারাপ আবহাওয়াকেই ভিলেন বলে চিহ্নিত করছেন মৎস্যজীবী ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। গভীর নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় আশাভঙ্গ হয়েছে সুন্দরবনের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর ও রায়দিঘি এলাকার মৎস্যজীবীদের। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, খারাপ আবহাওয়ার রেশ কাটিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে ইলিশ ধরতে সমুদ্রে জাল ফেলা হয়েছিল।

Hilsa Fish Price : ভরা মরশুমে কেন আকাশ ছোঁয়া দাম ইলিশের?
সমুদ্র উত্তাল থাকায় পমফ্রেট, ভোলা, ম্যাকরেল-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে জালে উঠলেও ইলিশের দেখা তেমন মেলেনি। ফলে, লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের। কাকদ্বীপ ফিশারমেন্‌স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে গেলেও ইলিশের দেখা নেই। অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ মোটামুটি ধরা পড়লেও ইলিশের পরিমাণ খুব কম। ফলে, ট্রলার মালিকরা আবার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।’

বষার মরশুমে ইলিশ বেশি ধরা পড়লে বছরের বাকি ৮ মাস মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের বাড়তি রোজগার হয়। তবে আগের তুলনায় ট্রলারের খরচ এখন অনেক বেড়েছে। ইলিশ ধরতে যাওয়ার প্রত্যেক ‘ট্রিপ’-এ জ্বালানি তেল, বরফ, মৎস্যজীবীদের খাবার নিয়ে খরচ পড়ে ১ লক্ষ টাকার বেশি। তার উপর ডিজেলের দামও বেড়েছে। সমুদ্রবিজ্ঞানীদের একাংশের মত, বৃষ্টির জল পড়ার পর সমুদ্রের জলে নোনা ভাব না-কাটলে ইলিশের ঝাঁক উপর দিকে ওঠে না।

Hilsa Fish : মৎস্যজীবীদের জলে ২ কেজির মস্ত ইলিশ! কত টাকায় বিক্রি হল জানেন?
বেশি ইলিশ পেতে হলে আরও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শনিবার নামখানা ঘাটে ফেরা মৎস্যজীবীদের এক জন, দ্বিজেন দাস বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়া কাটার পর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ উপেক্ষা করে ভারত-বাংলাদেশ জল সীমান্তে গভীর সমুদ্রে একাধিক বার জাল টেনেও ইলিশের ঝাঁকের কোন দেখা পাইনি। জানি না, আর কতদিন ইলিশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ শ্রাবণ মাস শেষ হতে চলল। এখন ভাদ্র মাসই ইলিশের জন্য ভরসা মৎস্যজীবীদের, ভোজনরসিকদেরও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *