জানা গিয়েছে, এই পদ্ধতিতে তরল নাইট্রোজেন প্রবেশ করানো হয় এবং গ্রাউন্ড ফ্রস্ট পদ্ধতিতে মাটির নীচের জল সম্পূর্ণ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। আর এই আধুনিক পদ্ধতির ফলে আগামীদিনে বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।
কী ভাবে ব্যবহার করা হয় তরল এই নাইট্রোজেনকে?
যাতে ধস না নামে সেইজন্য -১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাটির নীচে প্রবেশ করানো হয় তরল নাইট্রোজেন, যা জলকে বরফ করিয়ে দিতে সক্ষম। এর ফলে মাটি শক্ত হয় এবং ধস নামার প্রবণতা কমে যায়।
সূত্রের খবর, এই পদ্ধতি ১৬০ বছর পুরনো, এমনটাই দাবি করা হয়েছে মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে। যাতে বউবাজারে টানেলে তা ব্যবহার করা সম্ভব হয় সেই কারণে জামশেদপুর থেকে তরল নাইট্রোজেন আনা হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তা কী ভাবে ব্যবহার করা হবে?
জানা গিয়েছে, যাতে নির্দিষ্ট মাটির নীচের অংশে জল বরফে পরিণত হয় সেই চেষ্টা করা হবে। এই লক্ষ্যে বউবাজার থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট পর্যন্ত মাটির নীচে কিছু গর্ত করা হবে। সেই গর্তগুলি দিয়ে ১৬ মিটার মাটির গভীরে পাইপ প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। এক একটি গর্তে আট থেকে দশটা পাইপ লাগানো হবে এবং তা দিয়ে প্রবেশ করানো হবে তরল নাইট্রোজেন।
জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই যাতে এই নয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সেই জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে কেএমআরসিএল। নরওয়ের এই গ্রাউন্ড ফ্রস্ট পদ্ধতি ব্যবহার করলে ধস নামার যে কোনও আশঙ্কাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, দুর্গা পিতুরি লেন, স্যাঁকরাপাড়া লেন থেকে শুরু করে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। সেই সময় কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে মেট্রোর টানেল খননের কাজকেই দায়ী করেছিলেন স্থানীয়রা। এদিকে, কোনওভাবেই যাতে মেট্রোর কাজ চলাকালীন মাটি আলগা না হয় সেই জন্য তৎপর কর্তৃপক্ষ।
