শুক্রবার কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, “এই নিয়ম মেনে চলতেই হবে। সেক্ষেত্রে বহু হকারকে নির্ধারিত জায়গা থেকে সরাতে হবে পুরসভাকে।” তবে এই কাজ যে মোটেই সহজ হবে না, তা জানিয়েছেন তিনি।
টাউন ভেন্ডিং কমিটির এক সদস্য যিনি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই হকার ইউনিয়নের নেতাদের ৫৮টি ট্রাফিক পয়েন্টের তালিকা ধরানো হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, এই জায়গাগুলির ৫০ ফুটের আশেপাশে যাতে কোনও রাস্তা দখল করা না হয়।”
গড়িয়াহাট রোডের পাশাপাশি এই তালিকায় নাম রয়েছে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ক্রসিং, বিধান সরণি-হাতিবাগান ক্রসিং, গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ-চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ক্রসিং, এপিসি রায় রোড-এস এন ব্যানার্জি রোড ক্রসিং, জেএল নেহেরু রোড-এসএন ব্যানার্জি রোড ক্রসিং, ডায়মন্ড হারবার রোড-তারাতলা রোড ক্রসিং-ও এর মধ্যে অন্যতম।
গড়িয়াহাটে হকারদের সরিয়ে দেওয়ার পর কি তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, “এই বিষয়ে একটি সার্ভে করবে পুরসভা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” এক পুর আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। কোন কোন ট্রাফিক পয়েন্টকে অবিলম্বে হকার মুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, হকার সংক্রান্ত সমস্যা কলকাতায় নতুন নয়। অনেক সময় রাস্তার ধারে হকাররা পসরা সাজিয়ে বসেন। আর সেই কারণে পথচারিদের অসুবিধা হয় হাঁটাচলা করতে। কিছুদিন আগেই কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছিল, নিউ মার্কেট এলাকা এবং তার আশেপাশের হকারদের বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়ে সহমত দিয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ফেডারেশন অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের জেনারেল সেক্রেটারি তারক নাথ।
এবার ট্রাফিক সিগন্যালে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে বড় পদক্ষেপ গ্রহণের পথে প্রশাসন। মূলত, যে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা রোখার জন্য এই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে শহরের প্রশাসনের পক্ষ থেকে।