৫ বছর বয়সে দিব্যি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের মতো এতো বড় ও ভিড়ে ঠাসা স্টেশনকে সুরক্ষিত রাখার কাজ করে আসছে আইরিশ ও গিগল্যাট। দুই বন্ধুই আরপিএফের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে ওরা। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বোমা জাতীয় বস্তু উদ্ধার হলেই ডাক পড়ে দু’জনের।
আইরিশ ল্যাব্রাডর ও গিগল্যাট ডোবারম্যান প্রজাতির কুকুর। অন্যান্য পাঁচটা কুকুরের থেকে এরা অনেকটাই আলাদা। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হওয়ার পর দিল্লি থেকে শিলিগুড়িতে আরপিএফ ডগ স্কোয়াডে ওদের দু’জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। স্টেশন কিংবা অন্য কোথাও এক্সপ্লোসিভ জাতীয় কিছু থাকলে নিমেষে তা খুঁজে বের করে দেবে আইরিশ। অন্যদিকে গিগল্যাট দ্রুত দৌড়ে কোনও আততায়ীকে ধরা কিংবা দুর্গম এলাকায় ওঠা নামা করতে সক্ষম।
প্রতিদিন সকালে ৫ টায় ঘুম থেকে ওরা। এরপর সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে শুরু হয় ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ ও ট্রেনিং। বোমা জাতীয় বস্তু কীভাবে খুঁজে বের করতে হবে সেসব নিয়ে এই দুই সারমেয়কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৯ টায় সকালের খাবার খেয়ে এরপর স্টেশনে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির কাজ শুরু করে ওরা। দিন হোক বা রাত কোথাও ডাক পড়লেই যেতে হয়।
নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, আইরিশের দেখভাল করেন কন্সটেবল পিসি দাস ও গিগল্যাটের দেখভাল করেন কন্সটেবল মনোজ কুমার দাস। জানা গিয়েছে আইরিশ ও গিগল্যাট প্রত্যেকের জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকা করে আসে। যে টাকায় তাদের খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী কেনা হয়। স্বাধীনতা দিবস আসতেই কাজের চাপ বেড়েছে এই দুই পুলিশ কুকুরের। এখন এনজেপি স্টেশনে আসা প্রতিটি ট্রেন ও প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে ওয়েটিং রুম বিভিন্ন জায়গায় সর্বদাই কর্মব্যস্ত দুই বন্ধু।