WB Child Rights Commission : স্কুল পড়ুয়াদের গাঁজা বিক্রি, রিপোর্ট চায় শিশু কমিশন – child rights protection commission seeks report from di for addiction school students


সঞ্জয় দে, দুর্গাপুর

স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে গাঁজায় আসক্তি। এই প্রতিবেদন ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত হওয়ার পরেই ডিআইয়ের (ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অফ স্কুল) কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চিঠি পেয়ে তৎপর হয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর। শনিবার ডিআই সুনীতি সাঁপুই বলেন, ‘কমিশনের চিঠি তিন দিন আগে আমি কোক-ওভেন থানাকে ফরওয়ার্ড করেছি। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাইনি। থানার সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি। আশা করি, দ্রুত রিপোর্ট দেবে থানা।’

একই সঙ্গে তিনি চিঠি দিয়েছেন জেলার সমস্ত স্কুলকে। ডিআই বলেন, ‘সব স্কুলকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এলাকার কোনও দোকানে যেন নেশার সামগ্রী বিক্রি না হয়, তার দিকে নজর রাখতে হবে।’ দুর্গাপুরের কোক-ওভেন থানা এলাকায় সিনেমা হল রোডের একটি দোকানে রমরমিয়ে চলছিল গাঁজার কারবার। নেশারুদের পাশাপাশি সম্প্রতি কিছু স্কুল পড়ুয়াকে ওই দোকান থেকে গাঁজা কিনতে দেখা যায়।

Tarakeswar Mandir : কেউ গাঁজার ‘হ্যালে’, কেউ মদের ঘোরে! বাবার মাথায় জল ঢালতে গিয়ে বেসামাল পুণ্যার্থীরা
ক্রমশ গাঁজার নেশায় আসক্ত হয়ে উঠছিল ওই স্কুল পড়ুয়ারা। গত ৭ অগস্ট এই খবর প্রকাশিত হয় ‘এই সময়’-এ। এ প্রসঙ্গে কোক-ওভেন থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘সিনেমা হল রোডে গাঁজা বিক্রির ওই দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। গাঁজা বিক্রেতার খোঁজে তল্লাশি চলছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ৯০-এর দশক থেকে সিনেমা হল রোডের ওই দোকানে গাঁজা বিক্রি হয়। সকাল থেকে রাত, সেখান নেশারুদের যাতায়াত। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে পুলিশ তখন অভিযান চালায়। তার পর কিছু দিন দোকান বন্ধ থাকে। কয়েকদিন পর থেকে ফের দোকান খুলে শুরু হয়ে যায় কারবার। সম্প্রতি স্কুল ছাত্রদের ওই দোকান থেকে গাঁজা কিনতে দেখে প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Drug Trafficking : মাদক পাচার অভিযানে বড় সাফল্য অসম রাইফেলসের, ত্রিপুরায় বাজেয়াপ্ত ১ কোটির মাদক
বিষয়টি নজরে আসে এক শিক্ষকেরও। সন্দেহভাজন তিন ছাত্রের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজা পাওয়া যায়। এর পরেই ওই শিক্ষক গাঁজার কারবার বন্ধের দাবি জানিয়ে কোক-ওভেন থানায় অভিযোগ করেন। স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক বলেন, ‘স্কুল পড়ুয়াদের হাতে যে বা যারা নেশার সামগ্রী তুলে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য পুলিশকে বলব। যে দোকান থেকে গাঁজা বিক্রি হচ্ছিল সেটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হোক।’

Howrah School News : ক্লাবে চলছে সরকারি স্কুলের ক্লাস! জায়গার অভাবে বিদ্যালয়-বিমুখ খুদে পড়ুয়ারা
সম্প্রতি স্কুল লাগোয়া দোকানগুলিতে তামাকজাত সামগ্রী সমেত গুটখা বিক্রি করতে নিষেধ করেছে দুর্গাপুর থানা। দিনকয়েক আগে জেমুয়া ভাদুবালা স্কুলের পড়ুয়ারা লাগোয়া সমস্ত দোকানে গিয়ে সিগারেট, বিড়ি, গুটখার মতো নেশার সামগ্রী বিক্রি বন্ধের আবেদন জানিয়ে প্রচার করেছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জইনুল হক বলেন, ‘পড়ুয়াদের প্রচারে কাজ হয়েছে। স্কুল লাগোয়া দোকানগুলিতে এখন কোনওরকম নেশার সামগ্রী বিক্রি হয় না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *