ঘূর্ণাবর্তের চোখ রাঙানি…
এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা গোরক্ষপুর ও ভাগলপুর থেকে মালদা হয়ে পূর্ব দিকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। সিকিম থেকে একটি অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায়। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বুধ-বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৮ থেকে ৯৫ শতাংশ।
এদিকে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে রয়েছে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়াও দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। ১৫ অগাস্ট থেকে উত্তরবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টি। রবিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে। সোমবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে।
উল্লেখ্য, আগামী সোমবার পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, পঞ্জাবে। এছাড়াও অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে চলতি বছর এল নিনো নিয়ে আশঙ্কা ছিল। প্রথমিকভাবে জানানো হচ্ছিল, অগাস্ট মাসে এল নিনোর জন্য অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশে। এদিকে মরশুমের শুরু থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে। যদিও চলতি সপ্তাহে ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।