ফোন করা ও ছবি তোলা ছাড়া স্মার্টফোন যা যা কাজ করতে পারে, বাকি সেই সবই কাজ হবে এই স্ক্রিনে। খাতড়া এসডিও অফিস ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার স্মার্টফোনের আদলে একটি টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে। যা ডিজিটাল কিয়স্ক নামে পরিচিত। স্মার্টফোনের মতো দেখতে বলে অবাক হয়ে অনেকেই হয়ত হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখবেন।
টাচ করলেই দেখা যাবে হুবহু ফোনের মতোই কাজ করছে। স্মার্টফোনের মতই রয়েছে বিভিন্ন অ্যাপ এবং ইন্টারনেটের ব্যবস্থা, ওয়াই-ফাই। মহকুমা শাসকের দফতরের কাছে যাওয়ার পথেও চোখে পড়বে আরও একটি স্মার্টফোন। খাতড়ার SDO নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির নাম ‘ডিজিটাল কিয়স্ক। যারা অফিসে আসছেন তাদের যদি কোনও সরকারি কাজ থাকে বা সরকারি তথ্য জানার প্রয়োজন হয়, তারা এই টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজেরাই দেখে নিতে পারবেন।’
এই স্ক্রিন দুটি বসানো হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। সরকারি তথ্য জানার প্রয়োজন মেটাতে পারবেন সকলেই। তাছাড়াও মুকুটমণিপুর হল বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। মুকুটমণিপুর পর্যটন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি পাওয়া যাবে এই দুই ডিজিটাল কিয়স্ক-এ। এমনটাই জানিয়েছেন খাতড়ার এসডিও নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে বিমানবন্দর বা বিলাস বহুল শপিং মলে এই ধরনের ডিজিটাল কিয়স্ক ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য এই কিয়স্ক ব্যাবহার করা হয়। এবার জেলার মহকুমা দফতরেও এই কিয়স্ক দেখে হতবাক হচ্ছেন অনেকেই।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘জিনিসটি দেখে প্রথমে অবাকই হয়েছিলাম। তবে এটা ভালো কাজের জিনিষ। এরকম জিনিস বসানোর ব্যবস্থা করায় আমাদের অনেকটা উপকার হয়েছে।’ আরেক বাসিন্দারা কথায়, সরকারি বিভিন্ন তথ্য পেতে এই ধরনের আয়োজন এলাকার বাসিন্দাদের অনেক উপকার করবে।