যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রর মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া থেকে যাদবপুর ৮বি পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। একাধিক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। ‘ দাদা আমি বাঁচতে চাই’ স্লোগান তুলেন মিছিলের আয়োজন করা হয় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের তরফে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যএর নেতৃত্বে এদিন মিছিলের আয়োজন করা হয়। যাদবপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা হোক বলে দাবি করা হয় TMCP তরফে। এমনকি মিছিল থেকে বাম ছাত্র সংগঠনের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস মেঘে ঢেকে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করা হয়।
অন্যদিকে, সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অরবিন্দ ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন তৃণমূলপন্থী শিক্ষক-অশিক্ষক, পড়ুয়ারা। স্লোগানে মুখরিত হয় ক্যাম্পাস চত্বর। পাশাপাশি, একইসঙ্গে এদিন AISA ছাত্র সংগঠনের তরফেও এদিন ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। দুই পক্ষের স্লোগান, পালটা স্লোগানে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
এদিন কলেজস্ট্রিট চত্বরে অবরোধ কর্মসূচির আয়োজন করে SFI। এই ঘটনায় র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর হয় বামপন্থী ছাত্র সংগঠন। অন্যদিকে, এদিন পার্কসার্কাস থেকে আরেকটি মিছিলের আয়োজন করে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের ব্যাপারেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যে, যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় মানসিক অত্যাচারের ভিডিয়ো হাতে পেয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকরা বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োর হেনস্থার সময় ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। ভিডিয়ো খতিয়ে দেখছে ফরেনসিক দল। পাশাপাশি, আরও ছয়জন যাদবপুরের ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
শিশু সুরক্ষা কমিশন ইতিমধ্যেই ওই পড়ুয়াকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল বলেও দাবি তুলেছে। তাঁর শরীরে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুরো ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত সৌরভ চৌধুরী নামে এক প্রাক্তন ছাত্র মোবাইল ঘেঁটে একাধিক তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ বলে খবর। এর মাঝেই যাদবপুরের প্রাক্তনী বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে শহরের একাধিক জগতের মানুষজন এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকে।