জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি কেন্দ্রের BJP বিধায়ক কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। সেই কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। রাজবংশী অধ্যুষিত এলাকায় নির্মল চন্দ্র রায়ের উপর বাজি রাখে TMC।
রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১১ সাল থেকে এই কেন্দ্রে পরপর দুবার জিতে এসেছে তৃণমূল। ২০২১ সালে এই কেন্দ্রের বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়ের কাছে হারতে হয় তৃণমূলের প্রার্থী মিতালি রায়কে। উপ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই নতুন কাউকে প্রার্থী করা হবে এরকম গুঞ্জন ঘুরছিল জেলা তৃণমূলের অন্দরে। সেই মোতাবেক, গতবারের পরাজিত মিতালিকে প্রার্থী পদ না দিয়ে নতুন মুখ আনা হল কঠিন লড়াইয়ের সামনে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, একদিকে জেলার অধ্যাপক হিসেবে তাঁর পরিচিত এবং ভালো মুখের দিকটিকে কাজে লাগানো এবং আরেকদিকে রাজবংশী নির্মল চন্দ্র ঘোষকে এই কেন্দ্রে রাজবংশী ভোট আদায়ের ব্যাপারে ভালোরকম কাজে লাগানো যাবে বলেই মনে করছে রাজ্যের শাসক দল।
অন্যদিকে, এই কেন্দ্রে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাম শিবির। এই উপ নির্বাচনেও সাগরদিঘি মডেল অনুসরণ করে কংগ্রেসের হাত ধরেই সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করেছে। CPIM এর প্রার্থী করা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে। উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট জিতেছিলেন BJP প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়। ৪৩.৭৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূলের মিতালি রায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী প্রদীপকুমার রায়ের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
সেক্ষেত্রে, বিজেপির সঙ্গেই ভালো টক্কর দিতে হবে শাসক দলের প্রার্থীকে বলেই ধারণা তৃণমূলের অন্দরে। যদিও এখনও পর্যন্ত নিজেদের জেতা আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি BJP। এই উপনির্বাচনে BJP-র আসন ধরে রাখতে সম্মান রাখার লড়াই। শেষ লগ্নে যাতে শাসক দল বাজিমাৎ করে দিয়ে না যেতে পারে, সেই প্রচেষ্টায় রয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। অন্যদিকে, নতুন প্রার্থী এনে চমক দিয়ে ‘খেলা হবে’ বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।