সঞ্জয় ভদ্র: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর ডায়েরির পাতায় লেখা একটি চিঠি, তারই নামে। রহস্য-চিঠিতে হাতের লেখাটি কার? পুলিসি জেরায় চিঠি লেখার কথা স্বীকার করলেন ধৃত দীপশেখর দত্ত। এক্সক্লুসিভ তথ্য জি ২৪ ঘণ্টার হাতে।
আরও পড়ুন: JU Student Death: বহিরাগত ধরতে গিয়ে মোবাইল চোরের বদনাম! বিস্ফোরক যাদবপুরের হস্টেল সুপার
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিল স্বপ্নদীপ। হস্টেলের ছাদ থেকে কীভাবে নিচে পড়ে গেল? মৃত্যুর তদন্তে উঠে আসছে একে পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৩। ধৃতদের মধ্যে সৌরভ চৌধুরী যাদবপুরেরই প্রাক্তনী। বাকি দু’জন মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত বর্তমান ছাত্র। হস্টেলেই থাকতেন তাঁরা।
এদিকে স্বপ্নদীপের ডায়েরির ১৫১ নম্বর পাতা থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিস। ডিন অফ স্টুডেন্টকে লেখা সেই চিঠিতে উল্লেখ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলে র্যাগিং হয়। শুধু তাই নয়, এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আর্জি জানানো হয়েছে চিঠি। কিন্তু চিঠির তারিখ ঘিরেই দানা বেঁধেছে রহস্য।
কেন? ঘড়়িতে তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। ৯ অগস্ট রাতে যাদবপুরের মেন হস্টেলের বারান্দা নিচে পড়ে গিয়েছিল স্বপ্নদীপ। পরেরদিন অর্থাৎ ১০ অগস্ট মৃত্যু হয় তার। অথচ চিঠিতে যে তারিখ দেওয়া হয়েছে, সেটাও ১০ অগস্ট! কীভাবে সম্ভব? স্বপ্নদীপের বাবার দাবি, ‘চিঠির হাতের লেখাটি ছেলের নয়’।
আরও পড়়ুন: Generic Medicine: জেনেরিক ওষুধের গুণমান নিয়ন্ত্রিত নয়, সরকারি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সরব আইএমএ
পুলিস সূত্রে খবর, ওই চিঠি লেখাটি ধৃত দীপশেখর দত্তের। পুলিসি জেরায় নিজেই সেকথা জানিয়েছেন তিনি । এমনকী, চিঠির বেশ কয়েকটি লাইন নাকি লিখেও দেখিয়েছেন! তবে, সইটি তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন দীপশেখর। হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার জন্য এবার খুব শীঘ্রই আদালতে আবেদন জানানো হবে। কোনও পরিস্থিতিতে ওই চিঠি লেখা হয়েছিল? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।