ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, ভূমকম্পের উৎসস্থল উত্তর পূর্বভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে ৪৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১৬ কিলোমিটার গভীরে কম্পনের এপিসেন্টার। এইপ্রসঙ্গে বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, সিলেটের কানাইঘাট জেলা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ভারতীয় সীমান্তের কাছেই এই কম্পনের উৎস্থল।
যদিও ভূমিকম্প এই বাংলায় খুব একটা অনুভূত হয়নি। কলকাতা ছাড়া বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এই ভূমিকম্পের জেরে উত্তর পূর্বের জেলাগুলিতে ভালই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া এদেশের মেঘালয়, অসম, অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর পূর্বের বেশ কিছু জায়গায় ভূমিকম্পের অনুভূতি পেয়েছেন মানুষজন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত জুন মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেবারও ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বাংলাদেশের সিলেট সংলগ্ন এলাকা। আর এবারও সেই সিলেটের কাছেই ফের একবার ভূমিকম্প। এদিকে হালকা কম্পন অনুভূত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহর কলকাতায়। অনেকেই আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। যদিও কম্পনের প্রভাব এদিন খুব একটা ছিল না। হতাহতের অবশ্য কোনও খবর নেই।
এদিকে দিন কয়েক আগে আফগানিস্তানেও শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার জেরে কম্পন অনুভূত হল দেশের দেশের রাজধানী দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরেও। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে হওয়া ওই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৮। তারই জেরে কেঁপে ওঠে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। সেক্ষেত্রেও আতঙ্কে বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। অনেকেই কম্পনের ভিডিও ও ছবি শ্যুট করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তবে দিল্লিতে কম্পন অবশ্য এই প্রথম নয়। বিগত কিছু সময়ের মধ্যে একাধিকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। বারেবারেই ছড়িয়েছে আতঙ্ক।