গত বুধবার রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় যাদবপুরের মেন হস্টেলের ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার করা হয় প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ছাত্রের এমন পরিণতির পিছনে উঠে আসে নৃশংস র্যাগিং তত্ত্ব। এরপরই যাদবপুর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠে আঙুল। এদিন কোর্টে আবেদনে বলা হয়, আর কে রাঘবনের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ছাত্রদের র্যাগিং নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক বিশ্ববিদ্যালয় গুলি। এই বিষয়ে UGC উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক বলে আদালতের সামনে করা হয়েছে আবেদন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযোগ ও কিছু হৃদয় বিদারক ঘটনার পর ২০১৭ সালে ক্যাম্পাসে র্যাগিং ঠেকাতে কিছু নির্দেশিকা জারি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়দের উপর সিনিয়রদের র্যাগিং, অমানুষিক অত্যাচার ঠেকাতে প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর আর কে রাঘবনের নামে একটি র্যাগিং-বিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের প্রবণতা একেবারে সমূলে উৎখাত করতে সেই কমিটি একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল। নজরদারির অভাবে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তা না মানার অভিযোগ। বিশেষত প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর উঠে এসেছে ক্যাম্পাসের সুরক্ষা ব্যবস্থার একাধিক ফাঁকফোকর।
র্যাগিং বিরোধী নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের অর্থাৎ জুনিয়র ও সিনিয়রদের আলাদা হস্টেলে রাখতে হবে। JU-এর এই পড়ুয়ার মৃত্যুতে দেখা যায় সে আবাসিক না হয়েও সিনিয়র পড়ুয়াদের সঙ্গে একই হস্টেলে থাকছিলেন। একইসঙ্গে হস্টেলে সিসিটিভি না থাকায় সেদিন হস্টেলে কী হয়েছিল তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।