দিন কয়েক আগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের। উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। তড়িঘড়ি কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা ক্যাম্পাসে। ব়্যাগিংয়ের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ তোলা হয় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরী, অর্থনীতির দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত ও সোশিওলজির দ্বিতীয় বর্ষের পডুয়া মনতোষ ঘোষ।
এদিকে মেইন হস্টেলে মৃতের ঘর থেকে পুলিশ ২টি ডায়েরি উদ্ধার করেছে। সূত্রের খবর, তার মধ্যে একটি ডায়েরির উপর লেখা রয়েছে মৃত ছাত্রের নাম। সেই ডায়েরির পাতায় ডিনের উদ্দেশে ইংরেজিতে লেখা একটি চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগেরই এক ছাত্র তাঁকে হস্টেল সম্পর্কে ‘ভয় দেখিয়েছে’ বলেও দাবি করা হয়েছে ওই চিঠিতে। যদিও পুলিশ মনে করছে, ওই চিঠি মৃত ছাত্রের লেখা নয়। তাহলে প্রশ্ন কে লিখল ওই চিঠি? সেক্ষেত্রে চিঠিটি কার লেখা তা জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছে পুলিশ। মৃত ছাত্রের হাতের লেখার নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে ডায়েরিটি যে ওই মৃত ছাত্রের সেই বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত পুলিশ আধিকারিকরা। কারণ, ডায়েরির অন্যান্য পাতায় সিলেবাস সংক্রান্ত বেশকিছু লেখা পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার তদন্ত প্রসঙ্গে রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, ‘যাদবপুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চলছে। একজন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক সবসময় তদন্তের তদারকি করছেন। ছাত্রের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ হবে।’