Plastic Bag : প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধে পুজোর পর জরিমানার পুর-ভাবনা – kolkata municipal corporation wants to fine rs 500 and user rs 50 for plastic carry bags below 20 microns


দেবাশিস দাস
কুড়ি মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দিলে ৫০০ টাকা আর ব্যবহারকারীকে ৫০ টাকা জরিমানা করতে চায় কলকাতা পুরসভা। আসন্ন পুজোর মরশুম কাটলে এই কড়া পদক্ষেপের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অনেকেরই প্রশ্ন, পুজোর পরে কেন? কড়া ব্যবস্থা এখনই নেওয়া হবে না কেন?

Dengue Fever : ড্রেনে উপচে পড়ছে প্লাস্টিক-আবর্জনা! হাবড়ায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ
সংশ্লিষ্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘পুজোর মরশুমে আমরা সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে চাইছি। প্লাস্টিক ব্যবহারে জরিমানার আইনি সংস্থান থাকলেও তা এখনও চালু করা হয়নি। জনতার সচেতনতার উপর ভরসা রাখতে চাই আমরা। সচেতনতা তৈরি না হলে পুজোর পরে কুড়ি মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধে জরিমানার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাধ্য হব।’

Ashokenagar Kalyangarh Municipality : বেপরোয়া বাইকের দৌরাত্ম্যে! কড়া ব্যবস্থা অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার
পরিবেশ বিভাগ সূত্রের খবর, লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে কুড়ি মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাগ বন্ধে অনেকটাই সফল হয়েছিল পুরসভা। কিন্তু অতিমারী ও লকডাউন পর্বে সেই ছন্দে পতন ঘটেছে। বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল থেকে পাড়ার ক্লাব – অনেকেই তখন সাহায্য বিলিতে এই ব্যাগ ব্যবহার করেছিল। ফলে মানুষেরও সচেতনতা ওঠে শিকেয়। অতিমারীর পরে আর সে ভাবে সচেতনতা প্রচার হয়নি। ফলে কলকাতার বাসিন্দারা ফিরেছেন পাতলা প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারের পথে।

Kolkata Municipal Corporation : সিগন্যালের ৫০ ফুটের মধ্যে থাকা হকার উচ্ছেদ, তালিকায় গড়িয়াহাট সহ কোন কোন ক্রসিং?
কী বলছেন পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তরা? অনেকের বক্তব্য, জরিমানাতেও শহরে কুড়ি মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করা যাবে না। তাই এই ব্যাগকে উৎসেই বিনাশ করতে হবে। পরিবেশ ও বিজ্ঞান আন্দোলনের সংস্থা ‘যাদবপুর সায়েন্স ফোরাম’-এর অন্যতম উদ্যোক্তা সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’বিপজ্জনক প্লাস্টিক ব্যাগের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। এই কারখানাগুলি বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকেই।’

Ganga Erosion : গঙ্গার ভাঙনে পরপর বাড়িতে ফাটল, আতঙ্কে কাঁপছে বৈদ্যবাটিবাসী
পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’-এর তরফে প্রবীণ পরিবেশকর্মী নব দত্ত জানান, কুড়ি মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরি করে, এমন প্রায় ৭০টি ইউনিট চিহ্নিত করেছিলেন তাঁরা। প্রশাসনের কাছে সেই তালিকা জমাও দেওয়া হয়। কিন্তু সাড়া মেলেনি। নবর কথায়, ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধ আইনে পরিষ্কার বলা আছে, উৎপাদক, ক্রেতা এবং বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর পুরসভা বলছে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। ব্যবস্থা যদি নিতেই হয় তা হলে তিন পক্ষের বিরুদ্ধেই নিতে হবে। তবে সুফল মিলবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *