Ragging Case: যাদবপুরের পড়ুয়ার মতো একইভাবে হস্টেলে মৃত্যু সুরম্যর! হুগলির যুবকের মৃত্যুরহস্য নিয়ে মুখ খুললেন মা – jadavpur university student death reminded hooghly student unnatural death at bihar college


Ragging Case Update: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের পড়ুয়ার মতোই একই ভাবে হস্টেলে থেকে পড়তে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল হুগলির যুবকের। যাদবপুরের পড়ুয়ার খবর দেখে ফের সেই ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে এসেছে সুরম্য সাঁতরার বাবা মায়ের মনে। সুরম্যর মায়ের প্রার্থনা, ‘আর এভাবে যেন কোনও মায়ের কোল খালি না হয়।’

হুগলি থেকে বিহারের কলেজে পড়তে পাঠিয়েছিলেন ছেলেকে। কুড়ি বছরের সুরম্য আর বাড়ি ফেরেননি। বিহারের কলেজে পড়তে গিয়ে রহস্য মৃত্যু হয়েছিল হুগলির যুবকের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মতো কলেজ হোস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু বলে জানানো হয়েছিল ছাত্রের পরিবারকে। যাদবপুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে,কিন্তু বিহারে কলেজে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ছাত্রের পরিবার চায় আর যেন কোনও ছাত্রের এভাবে মৃত্যু না হয়।
Jadavpur University News : হস্টেল থেকে ঝাঁপ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে রহস্য

শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা সুশান্ত সাঁতরার ছেলে সুরম্য সাঁতরা (২০)। ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০২২ সালে বিহারের মুজাফফরপুর রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখানে কলেজেরই হস্টেলে থাকতেন সুরম্য। ২৮ জুলাই ভোর রাতে কলেজ হস্টেল থেকে ছাত্রের বাড়িতে ফোন করে বলা হয় রাত তিনটে নাগাদ হস্টেলের তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে গেছে সুরম্য। তাকে প্রশান্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ওইদিনই পূর্বা এক্সপ্রেস ধরে বিকালের মধ্যে ছাত্রের বাবা-কাকা বিহারে পৌঁছে যান। কিন্তু, মজফফরপুর হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে পাটনা কলকাতা রাজ্য সড়কের বক্তিয়ারপুর এলাকায় রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে ছাত্রের নিথর দেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
JU Ragging: ব়্যাগিং বিরোধী নির্দেশিকা না মানার অভিযোগ, যাদবপুরের পড়ুয়ায় মৃত্যুতে জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

ছাত্রের আত্মীয় তিলকচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয় ময়না তদন্ত করে। এটাতেই আমাদের সন্দেহ এর মধ্যে রহস্য কিছু আছে। কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লোডশেডিং ছিল, তাই পাঁচ ছয় জন ছাত্র হস্টেলের ছাদে গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে সুরম্য পড়ে যায়। কিন্তু, আমাদের মনে হচ্ছে এটা নিছক দুর্ঘটনা নয় তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হোক।’
Jadavpur Ragging : যাদবপুর মনে করাল নদিয়ার কলেজ পড়ুয়া সঞ্জীবের মৃত্যু, ২৫ বছর বিচারের অপেক্ষায় বাবা-মা

ছাত্রের বাবা সুশান্ত সাঁতরা বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র ছিল।তারা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিল এটা নিছক দুর্ঘটনা।কলেজ খুব দ্রুত সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।একটা সাদা কাগজে ছেলের নাম লিখে দিয়ে দেয়। মৃতদেহ শেওড়াফুলিতে নিয়ে এসে দাহ করা হয়।’
ছাত্রের মা মণীষা সাঁতরা বিহারের ডিজিপি,মুজফফরপুর আইজি,মুজফফরপুর এসপি ও সাকরা থানার আইসির কাছে অভিযোগ জানান। তার ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সুরম্যর একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল যার বাড়ি দূর্গাপুরে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছু জানা যাবে তাও বলা হয়েছে। কিন্তু বিহার পুলিশ কিছুই করেনি বলে অভিযোগ।
JU Student Ragging Case: ‘আমি অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে ছিলাম…’, পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু নিয়ে ৪ দিন পর মৌনতা ভাঙলেন রেজিস্ট্রার

মনিশা সাঁতরার অনুযোগ, ‘যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যুর পর দেখছি পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মিডিয়া সবাই সক্রিয় ভাবে বিচার চাইছেন। কিন্তু, আমার ছেলের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হল না। কিন্তু, ভালো ছাত্ররা তো ভিন রাজ্যে পড়তে যাবেই। সেখানে যদি এই ধরনের ঘটনা হয় কী হবে? আমার ছেলে আর ফিরবে না আর যেন তার মত কেউ এভাবে চলে না যায় সেটা দেখা উচিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *