অনেকগুলো নাম উঠে আসছিল। যদিও সেই দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন পম্পা পাল। শেষমেশ তাঁর নামেই পড়ল সিলমোহর। সোমবার প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নাম ঘোষণার পর সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসেন সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি।
নিজেদের নির্দিষ্ট কক্ষে চেয়ারে বসেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ সকল স্তরের নেতাদের ধন্যবাদ জানান সভাধিপতি পম্পা পাল। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নে জোয়ার পৌছে গিয়েছে প্রতিটি ঘরে। একাধিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেই সব প্রকল্প গুলিকে মানুষের কাছে আরও সহজ ভাবে পৌছে দেব আমি। গ্রামীন এলাকার উন্নয়নই আমার প্রধান লক্ষ্য’। সকলে মিলিত ভাবে মানুষের কাজ করার বার্তা দেন নব নির্বাচিত সভাধিপতি।
এদিন বোর্ড গঠন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল সহ জেলার প্রত্যেক বিধায়ক। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘দলের নির্দেশ মেনেই সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতি নির্বাচন হয়েছে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে’। তৃণমূল পরিচালিত এই বোর্ড আগামী সময়ে আরও উন্নয়ন করবে বলে আশাবাদী জেলা তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি আরও বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই বিরোধীরা ব্যাপক কুৎসা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিয়ে।
জেলা যাতে সবসময় অশান্ত থাকে সেই চেষ্টা করেছিল তাঁরা। সেটা করতে গিয়ে আজ তাঁরা জেলা থেকেই মুছে গেল। কংগ্রেস টিমটিম করে জ্বলছে, আর BJP বামেদের মানুষ জেলা থেকেই মুছে দিলেন’। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের এই ব্যাপক জয়ের প্রভাব আসন্ন লোকসভা ভোটে পড়বে বলে তিনি জানান।