‘লেনিনবাদ, মার্কসবাদ কি র‌্যাগিং শেখায়?’ যাদবপুরের ঘটনায় বামেদের নিশানা মদনের


যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার TMC বিধায়ক মদন মিত্রের নিশানায় বাম ছাত্র সংগঠন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বামেদের ছত্রছায়ায় রয়েছে। সেখানে র‌্যাগিং হলে তার দায় লাল ঝান্ডাকেই নিয়ে হবে বলে জানালেন মদন মিত্র।

Oh Lovely Music: ‘তোকে নিয়ে…,’ গানের তালে নায়িকার সঙ্গে মদন মিত্রের উদ্দাম নাচ
এদিন তিনি বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আজ নয়, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কাদের দখলে রয়েছে? ওখানে তৃণমূলের ঝান্ডার কোনও এন্ট্রি নেই। ওখানে যারা দায়িত্বে থাকেন তাঁদের কুকুর খেদানোর মতো তাড়িয়ে দেওয়া হয়।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্ষেত্রে বাম দল এবং বামবাদী ছাত্র সংগঠনের ‘কর্তৃত্ব’ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

Madan Mitra : &amp#39;কচি কচি বান্ধবীদের নিয়ে…&amp#39;, মদনকে একহাত বিজেপির স্বপনের
সরাসরি বাম ছাত্র সংগঠনকেই যাদবপুরের এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘র‌্যাগিং যদি কেউ করে থাকে, তার দায়িত্ব লাল ঝান্ডাকে নিতে হবে। তোমরা এমন কী লেনিনবাদ, মার্কসবাদ শেখাচ্ছো, যে সেখানে র‌্যাগিং হবে।’ এরকম ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে বলে দাবি করেন মদন।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে ছাত্র সংগঠন এবং সর্বোপরি বাম ছাত্র সংগঠনকে আপাদমস্তক দায়ী করছে রাজ্যের শাসক দল। সোমবার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বামপন্থীদের এই ঘটনায় আক্রমণ করেন যাদবপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।

Madan Mitra Facebook Live : &amp#39;আমার আর ক&amp#39;দিন…&amp#39;, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বলে দিলেন মদন মিত্র
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমি সব জায়গায় যাই কিন্তু কোনওদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যাই না। তাঁর কথায়, ‘ওরা পড়াশোনায় ভাল, কিন্তু শুধু পড়াশোনায় ভাল হলে হয় না। সবাই খারাপ না, পড়ুয়ারা ভাল।’ এরপরেই তিনি জানান যাদবপুরের কয়েকটা ‘আগমার্কা সিপিএম’ আছে। এই ঘটনায় তাঁদের দিকেই আক্রমণ শানান তিনি।

Madan Mitra : মদনের মুখে শোনা গেল ‘গাঁজা কেসের’ প্রতিধ্বনি!

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় জল অনেক দূর গড়িয়েছে। যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেদিনের ঘটনার আসল ছবিটা জানতে চেষ্টা করছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনার পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে পুলিশের তরফে। ধৃতদের মোবাইল ঘেঁটে দেখছেন ফরেনসিক আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে SFI রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী দুদিন রাজ্যের সমস্ত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তাঁরা। ১৭ তারিখ কলকাতায় মহা মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে SFI- এর তরফে। এমনকি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার মৃত্যুদিনে র‌্যাগিং বিরোধী দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *