ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, একটি নির্মীয়মান বাড়ির সামনে বেশকিছু মানুষ জমায়েত করেছে। চলছে বচসা। বাড়ির ছাদে লাগান রয়েছে জাতীয় পতাকা ও ফ্লেক্স। সেই সময়ই এক বালককে বাড়ির সানসেট দিয়ে উঠে ওই ফ্লেক্স ও জাতীয় পতাকা সেখান মাটিতে ছুঁড়ে ফেলতে দেখা যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, সেই ভিডিয়োতে পুলিশের উপস্থিতিও দেখা গিয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায় এলাকায়।
এই ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা ঘটায় লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যাচ্ছে। ভারতের পতাকাকে অসম্মানজনকভাবে তুলে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের ইটিন্দায়, পুলিশ কর্মীদের সামনে। The Prevention of Insults to National Honor Act ১৯৭১-এর ২ নম্বর ধারা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে, প্রকাশ্যে বা জনসাধারণের চোখের সামনে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বা ভারতের সংবিধানকে পুড়িয়ে ফেললে, বিকৃত করলে, ধ্বংস করলে, পদদলিত করলে বা অবমাননা করলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, বা জরিমানা, অথবা উভয় সাজাই হবে। দুঃখের বিষয় উপরে উল্লিখিত ঘটনায় সমস্ত কিছুই লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমি মুখ্যসচিব, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার এবং উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, অপরাধীদের ধরে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
এদিকে আজই জাতীয় পতাকা ফেলে দেওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি ছড়াল হুগলির বাঁশবেড়িয়াতেও। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুঁড়তে শুরু করে দুই গোষ্ঠীর লোকজন। একটি ভ্যান রিক্সাতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেলও ফাটাতে হয় পুলিশকে। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।