Kolkata Kharagpur Distance : ৪ দিন বন্ধ থাকবে সেতু, কলকাতা-মেদিনীপুর যাতায়াতে লাগবে দীর্ঘ সময়! – deshpran birendra setu between kolkata and kharagpur paschim medinipur will close for load test


লোড টেস্টিং তথা ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষার জন্য বন্ধ থাকবে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর শহর সংযোগস্থলে দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতু। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ অগাস্ট রাত ১১টা থেকে ২১ অগাস্ট রাত ১১টা পর্যন্ত বীরেন্দ্র সেতুর উপর দিয়ে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াত।

প্রসঙ্গত, বীরেন্দ্র সেতু বন্ধ হলে মেদিনীপুর শহর থেকে কলকাতাগামী যানবাহনকে ধর্মা, কেশপুর, লঙ্কাগড়, রাজনগর, বকুলতলা, খুকুড়দহ, মেছোগ্রাম হয়ে জাতীয় সড়ক ধরতে হবে। ফলে মেদিনীপুর থেকে কলকাতা পৌঁছতে লাগবে দীর্ঘ সময়। অর্থাৎ বীরেন্দ্র সেতু সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হলে মেদিনীপুর শহরবাসীর ভোগান্তি যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। বিভিন্ন কারণে রাজ্যের বুকে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এই জেলার। সেক্ষেত্রে এই সেতু বন্ধ থাকার ফলে কলকাতা-পশ্চিম মেদিনীপুর সড়ক যোগাযোগে রীতিমতো প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তার জেরে সমস্যার পড়তে পারেন প্রচুর সংখ্যাক মানুষ।

Paschim Medinipur News : ‘…গ্রামীণ স্বাস্থ্যে হাল ফেরাতে হবে,’ মমতা-অভিষেকের কথা স্মরণ করিয়ে বার্তা নবনির্বাচিত সভাধিপতির
এদিকে বড় খবর রয়েছে কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতু নিয়েও। দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংস্কারের জার্মানি থেকে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্ন যাতায়াতের জন্য অন্যতম পথ এই দ্বিতীয় হুগলি সেতু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অন‌্যান‌্য মন্ত্রী, রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এই সেতু দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যাতায়াত করেন। পরিসংখ্যান বলছে, এক লক্ষেরও বেশি গাড়ি প্রতিদিন দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাতায়ত করে। ফলে সেতু সংস্কার শুরু হলে যানবাহন পরিচালনা ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

West Bengal Districts : ফের কয়েকটি বড় জেলা ভাঙার সিদ্ধান্ত! বীরভূম-পুরুলিয়া সহ তালিকায় আরও নাম
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নকশা তৈরি করেছিল জার্মান কারিগরি সংস্থা শ্লায়েশ বার্জারম্যান পার্টনার। তাই এরও জার্মান বিশেষজ্ঞদেরই আনা হচ্ছে সেতুর মেরামতির জন্য। মোট ১২১টি কেবলের ফ্যান অ্যারেঞ্জমেন্টের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে সেতুটি। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কেবলের অবস্থা ভাল নয়। সেই কেবল মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই জার্মানি থেকে সামগ্রী আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই মেরামতির জন্য খরচ হতে পারে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। তবে কাজ শুরু হলে সেই অঙ্ক অনেকটা বাড়বে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *