Kolkata Municipal Corporation : জমা জল নিয়ে সচেতন হচ্ছে কলকাতা: পুরসভা – a notice has been sent by the kolkata municipal corporation due to long standing water in various parts of the house


শ্যামগোপাল রায়
বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ সময় জল জমিয়ে রাখা ও সেখানে মশার লার্ভা মেলার কারণে চলতি বছরের শুরু থেকে সোমবার পর্যন্ত মোট ৫,১২০ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মামলা দায়ের হয়েছে মোটে ১১১ জনের বিরুদ্ধে। এতে পুর-কর্তৃপক্ষ খুশি। তাঁদের বক্তব্য, কড়া পদক্ষেপের জেরে বাসিন্দাদের মধ্যে যে সচেতনতা আগের তুলনায় বেড়েছে, এই পরিসংখ্যান তারই প্রমাণ। যদিও অনেকের বক্তব্য, সচেতনতায় তেমন উন্নতি হয়নি। আসলে পদক্ষেপের ব্যাপারে শ্লথ পুরসভাই। তাই মামলার সংখ্যা এত কম।

Dengue Fever : তিন ধাপ নজরদারিতে মশা ধ্বংসের প্ল্যান
যদিও পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তার দাবি, ‘কোনও বাড়িতে জমা জল বা লার্ভার সন্ধান পেলে প্রথম নোটিস দিয়ে সতর্ক করা হয়। এরপর ফের পরিদর্শনে যান আমাদের কর্মীরা। সে বারেও এক ছবি দেখলে মামলা দায়ের করা হয় পুর আদালতে।’ ওই কর্তার দাবি, প্রথম নোটিস পাওয়ার পরেই প্রায় ৮০ শতাংশ বাসিন্দা সচেতন হন। তাই মামলা করার প্রয়োজন হয় না।

Rainfall Forecast : শেষ মুহূর্তে ঘূর্ণাবর্তের খেল! কলকাতা লাগোয়া ২ জেলায় তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস
আবার পাশের বাড়ির বাসিন্দাকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে দেখে সতর্ক হন অনেকে। মাসখানেক আগেই জমা জলের জন্য পুর নোটিস পেয়েছিলেন কসবার বাসিন্দা সমীরণ চৌধুরী। তিনি সোমবার বলেন, ‘বাড়িতে বেশ কিছু দিন না থাকার কারণে জল জমেছিল। নোটিস পাওয়ার পরেই ভুল সংশোধন করে নিয়েছি। মামলার খরচ চালানোর থেকে আশপাশ পরিছন্ন রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।’

প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কেন শহরে সে ভাবে ডেঙ্গি কমছে না? বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, বাসিন্দারা সচেতন হলেও শহরে আবহওয়ার তারতম্য ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ। কারণ, ২০২২ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ অগস্ট পর্যন্ত শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৪৭৮ মিলিমিটার। সেখানে ওই একই সময়ে এ বছর বৃষ্টি হয়েছে ৪১০ মিলিমিটার।

Dengue Fever : উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গি, ব্যারাকপুরে আয়োজিত বৈঠক থেকে কী বার্তা প্রশাসনিক কর্তাদের?
অধিকাংশ দিনই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে না। পতঙ্গবিদ গৌতম চন্দ্রের বক্তব্য, ‘ভারী বৃষ্টিতে লার্ভা ধুয়ে যায়। কিন্তু কম বৃষ্টি হচ্ছে বলেই রাস্তায় পড়ে থাকা চায়ের কাপ, ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত টায়ারে জমছে জল। সেখানেই জমছে মশার লার্ভা। তা ছাড়া তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির উপরে উঠলেই মশার বংশবৃদ্ধি শুরু হয়।’ শহরের তাপমাত্রা অধিকাংশ সময়ে ১৫ ডিগ্রির উপরে থাকাটাও রোগের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে শহরের কোথাও যাতে জল জমে না থাকে সে জন্য বাড়তি নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *