এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিক ও পুলিশ অফিসারদের পুরস্কার দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, বিদ্যুৎ দফতরের সচিব শান্তনু বসু, ভূমি দফতরের সচিব মনোজ পান্থসহ রাজ্য প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ আধিকারিককে এদিন পুরস্কৃত করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, পুরুলিয়া পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক এদিন পুরস্কার পেয়েছেন।
এদিনে রেডরোডে বর্নাঢ্য কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারে বিভিন্ন দফতরের রং-বেরঙের ট্যাবলো সেখানে উপস্থিত দর্শকদেক নজর কেড়েছে। অন্যদিকে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তরফে বিভিন্ন ‘স্টান্ট’ আয়োজিত হয়। ছৌ নৃত্যশিল্পীদের নাচও দর্শকদের নজর কেড়েছে। অনুষ্ঠান শেষ হওয়া অবধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারোটা পাঁচ নাগাদ অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান মমতা।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আঁটোসাটো নিরাপত্তায় মোড়া ছিল রেড রোড চত্বর। প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্সের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে রেড রোড এলাকায় চলছিল স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। শেষমেশ তা সফলভাবেই শেষ হয়েছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে কোনও বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে সোমবার দক্ষিণ কলকাতার বেহালা ও হাজরা মোড়ে মধ্যরাতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা। তৃণমূলের তরফে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বেহালায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বামেদের এই নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা।
বেহালর অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘যাদবপুরে এক ছাত্রকে র্যাগিংয়ের নামে খুন করা হল। মার্কসবাদীরা এই কাজ করেছে। এঁরা কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে কখনও সিপিএমের সঙ্গে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে দেয় না। যাদবপুর এখন আতঙ্কপুরে পরিণতে হয়েছে। ভালো পড়াশোনা করলেই ভালো মানুষ হওয়া যায়। এই কারণে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।’