নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনিয়োগের লক্ষ্যে প্রথমে দুবাই যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দু-তিন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। অনবাসী ভারতীয় ও সেখানকার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যে বিনিয়োগ টানার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এমনকী রাজ্যের খনিজ শিল্পে কোথায় কোথায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে তাও শিল্পপতিদের কাছে তুলে ধরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিনিয়োগের সন্ধানে দুবাই থেকেই স্পেনের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন মমতা। সেখানে পাঁচ থেকে ছয়দিন থাকার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানকার অনবাসী ভারতীয় ও বণিকমহলের সঙ্গে রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করবেন মমতা। একই সঙ্গে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা ও সরকারের তরফে দেওয়া যাবতীয় সুবিধার কথা তুলে ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে মিশনারিজ অব চ্যারিটিসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রোমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিন, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশ থেকে মমতার কাছে এসেছিল আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুমতি না মেলার কারণে তখন সফর বাতিল করতে হয় মমতা। এবারও কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতির অপেক্ষায় নবান্ন। কেন্দ্রের তরফে অনুমতি মিললেই মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর বিভিন্ন দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখনও অবধি বড় কোনও বিনিয়োগ আসেনি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘এখন আমার লক্ষ্য বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান’। নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠার পর নতুন প্রজন্মের কাছে খারাপ বার্তা গিয়েছে। তাই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের আগে রাজ্য কোনও বড় ধরনের বিনিয়োগ এলে তা তৃণমূলের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।