বিক্রম দাস ও পূজা মেহতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করল পুলিস। প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে এবার পুলিসের জালে আরও ৬ পড়ুয়া। ঘটনার পরপরই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সবেমিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্য়া দাঁড়ল ৯।
আরও পড়ুন-অভিযুক্তরা আরও বিপাকে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে এবার পকসো ধারায় মামলা!
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পরই জানা গিয়েছিল ঘটনায় বড় ভূমিকা ছিল প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর। তাকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিস। ৯ আগস্ট হস্টেলের তিনতলা থেকে নীচে পড়ে যায় স্বপ্নদীপ। তারপর দিন তার মৃত্যু হয়। তারপরই স্বপ্নদীপের ডায়েরি থেকে একটি চিঠি উদ্ধার হয়। সেই চিঠিটি যে লিখেছিল তাকেও গ্রেফতার করে পুলিস। পাশাপাশি আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
নতুন করে যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সঙ্গে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় বড় ভূমিক ছিল ওই ৬ জনের। এমনটাই পুলিস সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে গতকাল রাতে ওই ৬ জনকে টানা জেরা করে পুলিস। তাতেই তাদের বয়ানে বিপুল অসংগতি ধরা পড়ে। তার পরেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসের বক্তব্য স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনার দিন ও তার পরে ওই ৬ জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই ৬ জনের মধ্যে ৩ জন প্রাক্তনী ও ৩ জন বর্তমান পড়ুয়া। এদের মধ্যে রয়েছে মহম্মদ আসিফ, মহম্মদ আরিফ, অঙ্কন সরকার, অসিত সর্দার। ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণ আগেও এই আরিফ ও সৌরভের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করেছিল স্বপ্নদীপ। বাকী ৫ জন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। আজ এদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিস। এদের জেরা করে জানার চেষ্টা হবে আর কারা সেই রাতে ঘটনাস্থলে ছিল।
এদিকে, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্য়ুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অব স্টুডেন্টস ও রেজিস্ট্রারকে তলব করল লালবাজার। গতকালই জানা গিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদাধিকারীকদের সঙ্গে কথা বলতে চায় লালবাজার। জানা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও ডিন অব স্টুডেন্টসে আজ দুপুর ৩টেয় ডেকে পাঠিয়েছে লালবাজার। নোটিস পাঠিয়ে তাদের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম-এর সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও এসেছে। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হোস্টেল আধিকারীরে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। হস্টেলে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও আদৌ কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে চায় পুলিস।