বিকেলে আচার্যর সঙ্গে বৈঠক
অন্যদিকে আজই বিকেলে যাদবপুর কর্তৃপক্ষকে ডেকেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘অন্ধকার থাকলে আলো নিশ্চয় আছে, উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, খুব শীঘ্রই জানা যাবে।’ আচার্য আরও বলেন, ‘অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি, খুব শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত হবে।’ তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তলবের খবর প্রকশ্যে আসে। শিক্ষামহল মনে করছে, এই তলবও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে যান আচার্য বোস। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। পরবর্তীতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন রাজ্যপাল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও অ্যান্টি র্যাগিং সেলের সদস্যরা। তাছাড়া সেই বৈঠকে ছিলেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও। ছিলেন ২ জন মনোবিদ। সূত্রের খবর, ২ ঘণ্টার ওই বৈঠকে আচার্য জানতে চান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কী রকম? র্যাগিংয়ের অভিযোগই বা কোন কোন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি করে উঠছে? এমনকী র্যাগিং রুখতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানতে চান আচার্য। পাশাপাশি মনোবিদদের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান র্যাগিং করার মানসিকতা কেন তৈরি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে? মৃত ছাত্রের পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন আচার্য।
ঘটনায় মোট ধৃত বেড়ে ৭
এদিকে যাদবপুরের ঘটনায় গ্রেফতার আরও চার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের মিলিয়ে বুধবার আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাত অবধি জিজ্ঞাসবাদের পর আজ সকালে ওই তাদের গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে যাদবপুরের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল সাত। ধৃতদের জেরা করে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।