তবুও যতটুকু বলার আমরা বলেছি। মৃত ছাত্রের মা কে আমরা কথা দিয়ে এসেছি এই ঘটনার সঙ্গে দোষী একজনও ছাড়া পাবে না। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরা চলছে’। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মফস্বলের একটি ছেলে মহানগরে পড়তে আসছে। ইংরেজি বলতে হয়তো ততটা অভ্যস্ত নয়। শহরে এসে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাচ্ছে। সে বুঝতে পারছে না যে এখন কি করবে। তাই বলে তাঁর উপর রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়া, তাঁকে অত্যাচার করা, র্যাগিং করা আর সহ্য করা হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে নিজে দেখছেন। বিধ্বস্ত পরিবারটিও এখন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভরসা করছেন’।
সেই সঙ্গে ব্রাত্য এদিন একহাত নিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘BJP-র অঙ্গুলিহেলনে রাজভবন থেকে একজন বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করছেন। তাঁকে আমরা আবেদন করব, একটু মানবিকতা দেখান। সন্তান হারানো পরিবারটির কথা ভাবুন। এখন রাজনীতি করবেন না’। এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে এবার রাজ্যের সচেতন নাগরিকদেরও তাকানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন ব্রাত্য। এছাড়াও এদিন মৃত ছাত্রের মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেন দলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।
তিনি সবরকমভাবে তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেন। মৃত ছাত্রের মা’কে সায়নী বলেন, ‘এটা কোনও একজনের কাজ না। একটা গ্যাং এটার সঙ্গে জড়িত। এক এক করে সবাইকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কেউ ছাড়া পাবে না এই ঘটনায়, আমরা কথা দিয়ে যাচ্ছি’। এদিন ওই ছাত্রের বাড়ি যাওয়ার আগে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বলেন, ‘যাদবপুরে বহুদিন ধরে এই ব়্যাগিং চলে আসছে। সবাই সবটা জানে। এই অতি সক্রিয় মানসিকতারই ফল যাদবপুরের ওই ছাত্রের মৃত্যু’।