কোলিয়ারি শ্রমিক সংগঠনের নেতা কার্তিক দাস বলেন, ‘কোলিয়ারির মধ্যে রাতে খনি কর্মীদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। ঠিক এভাবেই ১৬ই জুলাই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটে এই কোলিয়ারিতেই’। আবার এক মাসের মধ্যেই ১৬ই অগাস্ট চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত খনি কর্মীরা।
খনিকর্মী মুকেশ পাসওয়ান বলেন, ‘কোলিয়ারির মধ্যে এইভাবে চুরির ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কিত। কিভাবে এবার থেকে রাতে ডিউটি করতে আসব সেটা নিয়েই সংশয় রয়েছে আমাদের। কেন না, এই কোলিয়ারিতে রাতে কোনওরকম নিরাপত্তা কর্মী থাকে না। একজন থাকেন তিনি লাঠিধারী’।
খনি কর্মীদের সুরক্ষা দিতে খনির মধ্যে রাতে বন্দুক ধারী নিরাপত্তারক্ষীর দাবি রাখেন তাঁরা। পাশাপাশি পুলিশ ও সিআইএসএফের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শ্রমিক নেতা কাঞ্চন ঘোষ বলেন, ‘যেভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে একেবারে পিকআপ ভ্যান নিয়ে কোলিয়ারির যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
এভাবে চলতে থাকলে কোলিয়ারি দিনের পর দিন রুগ্ন ও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে। তাই অবিলম্বে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকে এর দায়িত্ব নিতে হবে’। কোলিয়ারিতে চুরির ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত খনি কর্মীরা একথা স্বীকার করে লস্কর বাঁধ কোলিয়ারির ম্যানেজার এ কে পারিদা বলেন, ‘কোলিয়ারির মধ্যে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন রয়েছে।
নিরাপত্তার ফাঁক থাকার কারণে দুষ্কৃতীরা বন্দুক নিয়ে কোলিয়ারি চত্বরে ঢুকে অবাধে লুটপাট চালাচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। এবং প্রত্যেকটি কোলিয়ারিতে দুজন করে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা চলছে।
আনুমানিক প্রায় তিন লাখ টাকার অধিক যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে এদিন’। অবশেষে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গোগলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ। কোলিয়ারির এজেন্ট ম্যানেজারদের সঙ্গে খনি কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা করেন। কোলিয়ারি এজেন্টের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেয় শ্রমিক সংগঠনের লোকেরা। সকাল ছটা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত বিক্ষোভের জেরে বন্ধ থাকে মাধাইপুর ও লস্কর বাঁধ কোলিয়ারি দুটি।