পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রাক্তনীদের বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য মিলিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে সব মিলিয়ে মোট ২০ জন প্রাক্তন থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রাক্তনীরা থাকলে কর্তৃপক্ষ কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই নিয়ে সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হস্টেল সুপারকেও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ছয়জনের মধ্যে তিনজন প্রাক্তন ও তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পডু়য়া বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। ধৃতদের মধ্যে তিনজনকে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেরার পর ধৃতদের আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃত ছ’জনের প্রত্যেকেই ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছিল বলেই খবর।
যাদবপুরের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা পর তদন্তে নামে যাদবপুর থানার পুলিশ। লালবাজারের হোমিসাইড শাখাও তদন্তের কাজে সাহায্য করছিল। তদন্তে নেমে এক প্রাক্তনী ও দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সৌরভ-দীপশেখর-মনোতোষের গ্রেফাতারির পর হঠাৎ করেই হস্টেলের পড়ুয়াদের সংখ্যা কমতে থাকে। সন্দেহ বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার গভীররাতে অভিযানে বের হয় পুলিশ। তখনই এই ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
আরও জানতে রিফ্রেশ করুন…