শিক্ষিত হলেও কাজের ব্যবস্থা নেই। সেই কারণে শিক্ষা ব্যবস্থাকে না সাজিয়ে ভোটের জন্য ৫০০, ১০০০ টাকা দিচ্ছে। এখন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবর্তে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল সহ অন্যান্যরা নেশার জিনিসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। যাদবপুর ঘটনা চাপা দিতেই পুলিশ এখন তদন্তে নেমেছে’। বুধবার তমলুকে বিরোধী দলনেতার কার্যালয়ে জেলা পরিষদের জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে আগে জেলে ঢোকানো হোক।
তাঁরাই এই শিক্ষার জায়গাগুলিকে নোংরা করে রেখেছেন। শুধু যাদবপুর না, যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, একই দশা দেখতে পাবেন। কোথাও CCTV নেই, কোথাও সুপার নেই। হোস্টেল ও কলেজ চত্বর মদ জুয়া গাঁজার আড্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। আজকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রটি আত্মবলিদান দিয়ে সবার চোখ খুলে দিয়েছে, তাই এত হইহই হচ্ছে চারিদিকে। নাহলে এগুলি নিয়ে কোনও কথা বার্তা হয় না’।
সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার কে তিনি আক্রমণ করে বলেন, ‘ভুয়ো ডকুমেন্টস তৈরি করা হচ্ছে। হাইকোর্টে জমা করা হচ্ছে। কারণ যদি কোর্ট প্রশ্ন করে, তাহলে সরকার বলতে পারবে যে পুলিশ ঢুকতে গিয়েছিল। কিন্তু বাধা দেওয়া হয়েছে’। এছাড়াও তিনি কথা বলেন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়েও।
বলেন, ‘এই জোট বাম কংগ্রেস কর্মীরা কেউই মানবেন না। নীচুতলার কংগ্রেস CPIM কর্মী সমর্থকরা দিল্লির সেটিং মানছে না। আমি গ্রামে-গ্রামে বহু জায়গায় ঘুরি। তাই তাঁদের সমস্ত কথাই শুনতে পাচ্ছি। ভিতরে ভিতরে তাঁরা ক্ষুব্ধ। অনেকেই প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন’।
