এক বিজ্ঞপ্তিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার যতীন দাস পার্ক থেকে কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত পরিদর্শন করেন পি উদয় কুমার রেড্ডি। পরিদর্শনের সময়, তিনি মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনে এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমটি (BESS) ঘুরে দেখেন। সেই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে গভীর আগ্রহও প্রকাশ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইনভার্টার এবং অ্যাডভান্স কেমিস্ট্রি সেল (ACC) ব্যাটারির সংমিশ্রণে তৈরি এই নতুন সিস্টেমটি হঠাৎ পাওয়ার কাট বা গ্রিড ফেলিওয়ের ক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে সক্ষম। এই সিস্টেমের ফলে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের হলে টানেলের ভিতরে ট্রেনের মধ্যে আর যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হবে না। কারণ এই সিস্টেমের ফলে ট্রেনের যাত্রীদের দ্রুত পরবর্তী স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যাবে। অন্যদিকে পুরানো পাওয়ার ব্যাকআপ সিস্টেমটিও এদিন পরিদর্শন করেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার।
প্রসঙ্গত, কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ সবসময়ই পরিবেশ বান্ধব উপায়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়। সেই ধারাবহিকতা বজায় রেখেই মেট্রো উত্তর-দক্ষিণ করিডরের চারটি স্থানে এই ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া এই সিস্টেম নোয়াপাড়া, শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল এবং যতীন দাস পার্ক সাবস্টেশনে ইনস্টলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একবছরের মধ্যে চালু হবে এই সিস্টেম।
অন্যদিকে যাত্রীদের আরও সুবিধা দিতে কয়েকদিন আগেই উত্তর দক্ষিণ শাখায় অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড লাইন বসানোর কথাও ঘোষণা করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আরও কম সময়ের ব্যবধানে চালানো যাবে মেট্রো। ফলে আগের চেয়েও আরও তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। আর নয়া এই থার্ড লাইন বসলেও সাশ্রয় হবে মেট্রোর। তবে মেট্রোর সাশ্রয় হওয়ার বাড়া কমবে কি না সেই প্রশ্ন উঠতে হয়েছিল কোনও কোনওমহল থেকে। সেই প্রসঙ্গে অবশ্য মেট্রোর তরফে সাফ জানান হয়, ভাড়ার বিষয়টি স্থানীয়স্তরে নির্ধারণ হয় না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে বোর্ড।