আগামী ২৪ অগাস্টের মধ্যে এই ট্যুর প্যাকেজ প্রস্তুত করার নির্দেশ গিয়েছে। প্রতিটি জেলা অন্তত পাঁচটি করে এরকম সম্ভাব্য ট্যুর প্যাকেজ তৈরি করবে। বিশেষত, দু রাত তিনদিন, এক রাত দুদিন এরকম ছোট ছোট ট্যুর প্যাকেজের উপর বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে। পর্যটক স্থানের বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে হবে প্যাকেজ।
জেলায় ধর্মীয় স্থান, জঙ্গল, নয় চলাচলের ব্যবস্থা, ট্রেকিং, সাফারি এই ধরেনের কী কী আকর্ষণ রয়েছে সেগুলো জায়গা পাবে প্যাকেজে। জেলার মধ্যে আন্তঃসংযোগকারী সমস্ত পর্যটন স্থানের বিস্তারিত রুট ম্যাপ সংযুক্ত করা হবে প্যাকেজে। এর সঙ্গে থাকবে সংশ্লিষ্ট পর্যটন স্থানের আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিয়ো। এই সমস্ত প্যাকেজ প্রচার করা হবে পর্যটন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং পর্যটন মেলায়।
রাজ্যে পর্যটন বিকাশে এর আগে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ। কয়েক মাস আগেই থিম পর্যটনের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। হেরিটেজ ও সাংস্কৃতিক, অ্যাডভেঞ্চার, ইকো, বিচ, রুরাল, ওয়েলনেস এবং মিটিং ইনসেনটিভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সজিবিশন ট্যুরিজম এরকম ধরনের সাতটি থিম বেছে নেওয়া হয়েছিল। থিম পর্যটন গড়ে তোলার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান এবং অফবিট ডেস্টিনেশনের সংখ্যা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
তবে এবারে প্যাকেজ তৈরির উপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পর্যটকরা কী ভাবে ঘুরবেন, কোথায় কোথায় থাকবেন এই প্যাকেজ তৈরির জন্য বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার উপর নির্ভর করে থাকেন। সেক্ষেত্রে সেই সংস্থার সুবিধা-অসুবিধা, মুনাফার বিষয় যুক্ত থাকে। তবে সরকারি উদ্যোগে এই প্রথম এরকম ধরনের জেলা ভিত্তিক ট্যুর প্যাকেজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হল। আগামী দিনে রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থার প্রসারে এবং পর্যটকদের। সুবিধার্থে এই কর্মসূচি গ্রহণযোগ্য হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।