গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। BJP-র কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে এসেছি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটের দিন ওই হামলা চালিয়ে আমাদের দলের কর্মী মাধব বিশ্বাসকে খুন করেছে। এদিনের পুলিশের গ্রেফতারিতে তা প্রমাণ হল।’
যদিও তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। BJP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ওই খুন হয়েছিল। সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে তৃণমূল নেতা কর্মীদের নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনের পথে আমরা লড়াই করব।’
বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের দিন কোচবিহারের দুই প্রান্তে বিরোধী দলের এজেন্ট খুন ও নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। BJP-র পোলিং এজেন্ট খুনে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দিনহাটায় এক নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে। দুই অভিযুক্তকেই পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই কোচবিহার-১ এর ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪/৩৪ নম্বর বুথের BJP পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ব্যালট বাক্স চেক করার কাজ চলছিল। সেইসময় বোমাবাজি করতে করতে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী বুথের ভিতরে ঢুকে পড়ে।
সেখানে গিয়ে BJP প্রার্থীর খোঁজ করছিল তারা। BJP-র পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাস সেই সময় বুথ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেইসময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বুথের সামনেই লুটিয়ে পড়েন মাধব। সেখানে একজন পুলিশকর্মী ছিলেন। তিনি কিছু করতে পারেননি। ঘটনায় তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। BJP নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল করেছে।