এই সময়, কাকদ্বীপ: দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায় বেআইনিভাবে বাচ্চা হাঙর ধরে শুঁটকি মাছের খটিতে শুকিয়ে পাচার করছিল বেশ কিছু মৎস্যজীবী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়ায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বন দপ্তরের বকখালি রেঞ্জের কর্মীরা দুই মৎস্যজীবীকে ধরে ফেলে। সেই সঙ্গে প্রচুর সংখ্যায় মরা হাঙর উদ্ধার হয়েছে।
এলাকার একটি শুটকি মাছের খটিতে হাঙরগুলি শুকনো করা হচ্ছিল। ৭০ ক্রেট শুকনো হাঙর উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আকাশ দাস ও রঞ্জিত বাগকে। আকাশ কাকদ্বীপের হরিপুর, রঞ্জিত সাগরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। বঙ্গোপসাগর থেকে হাঙর ধরা ও পাচারের জন্য উপকূল এলাকার কোন কোন শুঁটকি মাছের খটিতে এই বেআইনি কাজ চলছে, তা ধরতে তৎপর বন দপ্তর।
এলাকার একটি শুটকি মাছের খটিতে হাঙরগুলি শুকনো করা হচ্ছিল। ৭০ ক্রেট শুকনো হাঙর উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আকাশ দাস ও রঞ্জিত বাগকে। আকাশ কাকদ্বীপের হরিপুর, রঞ্জিত সাগরের গোবিন্দপুরের বাসিন্দা। ধৃত দু’জনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় ধৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। বঙ্গোপসাগর থেকে হাঙর ধরা ও পাচারের জন্য উপকূল এলাকার কোন কোন শুঁটকি মাছের খটিতে এই বেআইনি কাজ চলছে, তা ধরতে তৎপর বন দপ্তর।
প্রসঙ্গত, হাঙর ধরা ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কিন্তু সুন্দরবন জুড়ে এক শ্রেণির মৎস্যজীবী নদী ও সমুদ্র থেকে হাঙর ধরে বিক্রি করছে বলে বারেবারে অভিযোগ উঠেছিল। খবর নিয়ে বনদপ্তর জানতে পারে, বঙ্গোপসাগর থেকে হাঙর ধরে মোটা টাকায় বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এই হাঙর বিদেশে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও হাঙড়ের লেজ থেকে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে এই ফ্রেজারগঞ্জ থেকে চার হাঙর পাচারকারী মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময়উদ্ধার হয়েছিল ৬৮টি বাচ্চা হাঙর। ধৃতদের জেরা করে গভীর সমুদ্র থেকে বেআইনিভাবে হাঙর ধরা ও পাচার চক্রের সন্ধান পান বন দপ্তরের আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরেই কড়া নজরদারি চলছে সুন্দরবনের উপকূল এলাকায়।