রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিন্ধ্যগিরির উন্মোচন সামুদ্রিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াবে। ভারতের মধ্যে জাহাজ তৈরির মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্য অর্জনের পথেও এটা একটা পদক্ষেপ। স্বনির্ভরতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার উদাহরণ প্রোজেক্ট ১৭এ, বিন্ধ্যগিরি যার অঙ্গ। এই প্রকল্প ঘরোয়া ভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়নকে তুলে ধরে।’
তিনি জানান, বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং অদূর ভবিষ্যতে তৃতীয় বৃহত্তম হতে চলেছে। তাঁর মতে, অর্থনীতির বৃদ্ধি মানেই বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের পণ্য বাণিজ্য বিরাট অংশ সমুদ্র পথে যাতায়াত করে। ফলে, আমাদের বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিতে সমুদ্রের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং বৃহত্তম ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার বহু দিক রয়েছে। যার মধ্যে জলদস্যু, সশস্ত্র ডাকাতি, ড্রাগ চোরাচালান, বেআইনি মানুষ পাচার, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং বহু অন্য বিষয় রয়েছে। এই পটভূমিকায় ভারতের সামুদ্রিক স্বার্থগুলিকে সুরক্ষা দেওয়া, সংরক্ষিত রাখা ও তুলে ধরার দায়িত্ব ভারতীয় নৌবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। সুরক্ষা সংক্রান্ত বিপদের মোকাবিলায় নৌবাহিনীকে সর্বদা সক্রিয় থাকতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পশ্চিমবঙ্গে এলেন দ্রৌপদী মুর্মু। তার উল্লেখ করে এদিন তিনি বলেন, ‘কলকাতা প্রাণবন্ত শহর। দেশের হৃদয়ে এই শহরের অতীত ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির বিশেষ জায়গা রয়েছে। কলকাতার মেধাগত প্রাণবন্ততা, শৈল্পিক স্পৃহা এবং কসমোপলিটান চরিত্র ভারতের সেরাকে তুলে ধরে। কলকাতার অবস্থান নৌ ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি, আমাদের সামুদ্রিক স্বার্থগুলিকে রক্ষা করা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।’