তিন জনই ইছাপুরের বাসিন্দা৷ এর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালি থেকে যে তিন জন গ্রেফতার হয়েছিল তাদের জেরা করেই ইছাপুরের এই তিন জনের নাম পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই ডনকে খুন করার জন্য আনিয়েছিল ইছাপুরের ধৃত তিন জন।
যার পিছনে আর্থিক লেনদেনও হয়েছিল। সূত্রের আরও খবর প্রায় আড়াই লাখ টাকার রফা হয়েছিল। যার একটা অংশ অগ্রিম বাবদ এবং বাকি বেশি অংশ কাজ হয়ে যাওয়ার পর দেওয়ার রফা হয়েছিল। ইছাপুরের তিন জনকে জেরা করে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পার্বতীর (৪২) ওরফে পাখির নাম পায় পুলিশ।
এরপরই আজ তাকে গ্রেফতার করে। ঘটনার সঙ্গে তার স্বামী নেপালের যোগসাজশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। কারণ ২০২০ সালের জুলাই মাসে নেপালের বউদি চম্পা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নাম জড়ায় ডনের। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। পরবর্তীতে ছাড়াও পেয়ে যায়৷ ওই একই সালের ডিসেম্বর মাসে গুলিবিদ্ধ হয় নেপাল। সেই ঘটনাতেও ডনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নেপাল একটু সুস্থ হতেই ডনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে বলে মনে করছে পুলিশ। সেইমতো প্রস্তুতিও শুরু করে।
যদিও বিষয়টি পুলিশ জানতে পারে এবং নেপালকে গ্রেফতার করে গত বছরের প্রথম দিকে। তারপর থেকে দমদম জেলেই সে বন্দি। তবে কি জেলে বসেই নেপাল পুরো ছক করেছিল? সে সম্ভাবনাও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
কারণ ধৃত ইছাপুরের তিন জনই নেপাল এবং তাঁর বউদির ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ব্যারাকপুর পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘একসময় নেপাল এবং তার দাদা গোপালের হয়েই কাজ করত ডন। পরবর্তীতে গোপালের মৃত্যুর পর স্ত্রী চম্পার সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়। ডন নিজের মতো করে সাম্রাজ্য বিস্তার শুরু করে।
যা মনপসন্দ ছিল না নেপালের। ২০১৬ সালে ডনের চোখে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় নেপালের দলবলের। তারপর থেকেই এলাকার দখলদারি নিয়ে দুপক্ষের লড়াই শুরু হয়’। যার জেরেই ডনকে খুন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ মনে করছে।