ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হস্টেলের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য বৃহস্পতিবারের সিন্ডিকেট মিটিং নতুন করে আবসিকদের বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সচল কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য উদ্যোগী হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্ত দত্ত বলেন, ‘যাদবপুরের ঘটনার পর ১৬টি হস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ক্যাম্পাসে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা দু’দিন ঘুরে দেখবেন। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
জানা গিয়েছে ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University Of Calutta) প্রাক্তন উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সব ক্যাম্পাস ও হস্টেলে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। গোটা প্রক্রিয়া শেষ হতে দু’বছর সময় লাগে। যাদবপুরের ঘটনার পর একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আরও কঠোর নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলে কোনও প্রাক্তনী থাকেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
অন্যদিকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ও জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে বসানো ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু আমফানের সময় তার অধিকাংশই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ক্যাম্পাসের সর্বোত্র সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে যাদবপুরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। প্রেসিডেন্সির কলেজ স্ট্রিট ও রাজারহাট ক্যাম্পাসে বসানো রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। কার্শিয়াঙের ক্যাম্পাসও মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভিতে। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্সিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সময় আন্দোলনে নেমেছিল পড়ুয়ারা। উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করা হলেও পিছপা হয়নি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে সেন্ট জেভিয়ার্সের ক্যাম্পাসেও দীর্ঘদিন ধরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এমনকী সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের হস্টেলেও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানান প্রিন্সিপাল ফাদার ডমিনিক স্যাভিও।