স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসবি ও বন দফতরের আধিকারিকরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছিলেন। তাদের তরফে যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে ধরা হয়। ধৃতদের শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাচারকারীদের সঙ্গে সেনাকর্মী ও বিএসএফ জওয়ানের যোগ কীভাবে ছিল তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। এর আগেও এভাবে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম তপন থাপা, রিভাস প্রধান, প্রভু মুন্ডা, শ্রীয়ান খেড়িয়া ও ধর্মদাস লোহার। এদের মধ্যে তপন থাপা বিএসএফ জওয়ান ও রিয়াস প্রধান আইআরবি এর কর্মী। রিয়াস প্রধান সিকিমের বাসিন্দা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। অন্যদিকে তপন থাপা, প্রভু মুন্ডা, শ্রিয়ান খড়িয়া, ধরম দাস লোহার কালচিনির বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার রাতে নকশালবাড়ি বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে পাঁচজনকে ধরে এসএসবি এর ৪১ নম্বর ব্যাটলিয়ন ও কার্শিয়াং ডিভিশনের টুকুরিয়া ঝাড় রেঞ্জ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৯৪৫ গ্রাম ওজনের একটি হাতির দাঁত। এরপর তাঁদের নকশালবাড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে বাসস্ট্যান্ডে তারা ক্রেতার অপেক্ষায় ছিল। সেখানে হাতির দাঁতটি বিক্রি করার জন্য ক্রেতার জন্য তারা অপেক্ষা করছিল। সেখানে হাতির দাঁতটি দেওয়ার জন্যই পাঁচজন মিলে এসেছিল।
বন্য জীবজন্তুর দেহাংশ পাচারের ঘটনায় বিএসএফ জওয়ান যোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় বিএসএফের তরফেও বিষয়টির খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। বন দফতর ও এসএসবি এর সঙ্গে কথা বলেছেন বিএসএফ এর আধিকারিকেরা। পাশাপাশি আইআরবি এর একজন কর্মীর যোগ থাকাতেও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা খোঁজ শুরু করেছেন।
হাতির দাঁত উদ্ধার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাচারের ঘটনায় বিএসএফ জওয়ান জড়িত থাকায় খটকা লেগেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। তাঁদের মতে এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনও আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের যোগ থাকতে পারে। এমন কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।